শনিবার (১৮ মার্চ) দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের দক্ষিণাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে সেখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। এ পর্যন্ত অন্তত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের শক্তিশালী কম্পনে বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং লোকজন রাস্তার দিকে ছুটছে। পেরুর উত্তরাঞ্চলেও ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে।
'ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে' দেশটির উপকূলীয় গুয়াস অঞ্চলে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের কথা জানিয়েছে। ইকুয়েডরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গুয়াকিল থেকে প্রায় ৫০ মাইল (৮০ কিলোমিটার) দক্ষিণে ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওগুলিতে গুয়াকিলের রাস্তায় লোকজনকে জড়ো হতে দেখা যায়। পেরুর উত্তরাঞ্চলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো ট্যুইট করে জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো সাংবাদিকদের বলেছেন যে "ভূমিকম্প নিঃসন্দেহে বৃহৎ জনসংখ্যার মধ্যে বিপদের শঙ্কা তুলেছে।" লাসোর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে যে আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জন উপকূলীয় রাজ্য এল ওরোতে এবং দুজন পার্বত্য রাজ্য আজুয়ায় মারা গেছে।
সিএনএন-জানিয়েছে, আধিকারিকরা বলেছেন যে আজুয়ায় একটি গাড়ির উপর দেয়াল ধসে একজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং এল ওরোতে একটি নিরাপত্তা ক্যামেরা টাওয়ার ধসে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হলেও তাদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। ইউএসজিএস এই কম্পনকে "অরেঞ্জ অ্যালার্ট" হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং বলেছে যে বিপর্যয়টি সম্ভাব্য ব্যাপক এবং হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ভূমিকম্পে দক্ষিণ ইকুয়েডরের ভবনগুলির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, তবে এখনও পর্যন্ত সুনামির কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।
No comments:
Post a Comment