রাজ্যে আবারও আলু চাষির আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলি জেলার খানাকুলের সেনপুর গ্রামে। মৃত আলু চাষীর নাম মনসা রানা (৬৫)। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে বাড়িতে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান তিনি। অনেকক্ষণ তাকে ডাকলে কোনও উত্তর আসেনি। এরপর স্বজনরা বাড়িতে গেলে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পান। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, তিনি ফ্যানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। স্থানীয় লোকজন প্রথমে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পরিবারের দাবী, ঋণের জেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এর আগে, বিরোধী দলগুলিও অভিযোগ করে আসছে যে রাজ্যের আলু চাষীরা ফসলের উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না।
নিহতের স্বজনরা জানায়, প্রতি বছরের মতো এবারও তিনি সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে ৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেন। কিন্তু আলুর দাম না পাওয়ায় তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কীভাবে ঋণ শোধ করবেন তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তিনি। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা জানতেন। পরিবারের দাবী, মানসিক অবসাদে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। নিহত মনসা তার স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে থাকতেন। এমতাবস্থায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম হওয়ায় পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। যদিও স্থানীয় প্রশাসন আলু চাষীর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করতে চায় না।
গত শুক্রবার মেদিনীপুরের গৌশালায় এক আলু চাষির অকাল মৃত্যু হয়। বাড়ির বাথরুম থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবী, ঋণের জেরেই বাপ্পা দাস নামে এক আলু চাষিও আত্মহত্যা করেছেন। তিনি দুই বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। তিনি ঋণ নিয়ে কৃষিকাজ করেন। বাজারে অনেক ধার ছিল। সেই ঋণের বোঝা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পরিবারের দাবী। গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আলু চাষিদের অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে। রাস্তায় আলু ফেলে দেওয়া হয়। কৃষকরা বলছেন, আলুর দাম পাচ্ছেন না তারা। সরকার কৃষকদের কাছ থেকে আলু কিনলেও লাভের অংশ পাচ্ছেন না কৃষকরা। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আলু চাষিরা।
No comments:
Post a Comment