গর্ভবতী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রতিবেশী আত্মীয়র বিরুদ্ধে। অভিযোগ লোকটির স্ত্রী এই পুরো কাজটি তার মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে এবং তারপর ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে। ঘটনাটি ওড়িশার নবরংপুরের।
তথ্য অনুযায়ী, স্বামী-স্ত্রী প্রথমে নির্যাতিতাকে হুমকি দেয় এবং তারপর তাকে স্থানীয় একটি মন্দিরে নিয়ে যায়, যেখানে তাকে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য শপথ করানো হয়। এ ব্যাপারে নির্যাতিতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শেষে অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে যে ওড়িশার খাটিগুদা এলাকার জগন্নাথপুর গ্রামের এক গর্ভবতী মহিলা একটি মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়মিত চেকআপের জন্য তার আত্মীয় পদ্মা রুঞ্জিকারের কাছে সাহায্য চাইছিলেন। পদ্মা আশাকর্মীর। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্যাতিতা ডাক্তারি পরীক্ষা করতে গেলে পদ্মার স্বামী লিলিয়া তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এ সময় পদ্মা রুঞ্জিকর শুধু তার স্বামীকে তার গর্ভবতী বৌদিকে ধর্ষণ করতে সাহায্য করেননি, তার মোবাইলে এই কাজটি রেকর্ডও করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রী ব্যক্তিগত কারণে এই অপরাধ করেছে। ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যার পরে পুলিশ সাইবার সেলকে ভিডিওটি ইন্টারনেট থেকে সরাতে বলে। পুলিশ আশাকর্মী পদ্মার মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে, যেটিতে তিনি ধর্ষণের ঘটনাটি রেকর্ড করেছিলেন। পুলিশ আশা কর্মীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগে একটি চিঠি পাঠিয়েছে এবং বলেছে যে তারা ২১ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করবে।
No comments:
Post a Comment