সংসদের মর্যাদা বজায় রাখে এমন ওষুধ তৈরি করুন, আবেদন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়ের

সংসদে হট্টগোল দেখে ব্যথিত, উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় শনিবার আয়ুর্বেদাচার্যদের কাছে এমন একটি ওষুধ তৈরি করার আবেদন করেছেন যা সংসদের মর্যাদা বজায় রাখবে। উত্তরপ্রদেশের মিরাটে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক আয়ুর্বেদিক সম্মেলনে ধনখড় বলেন, 'আমাদের সংবিধান সভা ৩ বছর ধরে অনেক জটিল ও বিভাজনমূলক সমস্যা নিয়ে বিতর্ক করেছে এবং সমাধান করেছে। তবে দীর্ঘ ১০ বছর কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি, কেউ ওয়েলে আসেনি, কোনও প্ল্যাকার্ড দেখানো হয়নি। আমাদের আজকের আচরণ তার বিপরীত। গণতন্ত্রের মন্দিরকে এভাবে অসম্মান করা আমরা দেখতে পারি না।'

তিনি বলেন, 'আমরা শুধু সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রই নই, আমরা গণতন্ত্রের জননীও।' সংসদের মর্যাদা বজায় রাখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'আজ এখানে আচার্য বালকৃষ্ণ, বিখ্যাত আয়ুর্বেদাচার্য উপস্থিত। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হয়ে আমি কিছু বলতে চাই যে, আপনি এমন ওষুধ তৈরি করুন যাতে সংসদের মর্যাদা বজায় থাকে।'

সংসদের মর্যাদা রক্ষায় গণআন্দোলনের পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, 'সংসদ ও বিধানসভায় পরিবেশ সৃষ্টি, আচরণ দৃষ্টান্তমূলক হতে হবে। কোনও হস্তক্ষেপ করা উচিৎ নয়। কিন্তু এটা কিভাবে হবে – এর জন্য আপনাদের সবাইকে গণআন্দোলন করতে হবে। যারা এই মহান দেশের অর্জনকে অসম্মান করে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।'

রাহুল গান্ধীর বিদেশে দেওয়া বক্তব্যের আবারও সমালোচনা করে ধনখড় বলেন, 'আজ দেশের চিন্তাধারায় পরিবর্তন এসেছে। যা কখনও ভাবা হয়নি, যা কল্পনা করা হয়নি, আজ ভারতে তা ঘটছে। ভারত আজ পঞ্চায়েত ও পৌরসভা থেকে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তর পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকরী গণতন্ত্র, কিন্তু তারপরও কিছু লোক অভিযোগ করে যে, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সংসদে মাইক বন্ধ করা হয়েছে। এর চেয়ে অসত্য আর কিছু হতে পারে না।' 

জরুরী অবস্থার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি আরও বলেন যে, 'রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হয়ে তিনি বলতে বাধ্য হচ্ছেন, ভারতের সংসদে মাইক বন্ধ হয় না। হ্যাঁ একটি সময় ছিল, একটি অন্ধকার অধ্যায় ছিল, এটি জরুরি অবস্থার সময় ছিল।'