রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বাংলা সফরে নিরাপত্তায় কড়া ব্যবস্থা! ক্যাম্পাসে মোতায়েন বিশেষ দল - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 24 March 2023

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বাংলা সফরে নিরাপত্তায় কড়া ব্যবস্থা! ক্যাম্পাসে মোতায়েন বিশেষ দল



রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অব্যাহতি পেয়ে প্রথমবারের মতো বাংলায় আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী।  দুই দিনের সফরে রাষ্ট্রপতি ২৮ মার্চ শান্তিনিকেতনে অবস্থিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।  বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির সফরকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।  রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার জন্য শুধু মানুষই নজরদারি করছেন না, অফিসারদেরও বিশেষ নজর রয়েছে সাপের ওপর।  এ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে সাপ থাকায় আধিকারিকরা সাপ নিয়ে চিন্তিত।  এ কারণে রাষ্ট্রপতির সফরের সময় সাপ ধরতে পারদর্শী বন বিভাগের একটি দল বা সর্পপ্রেমিক মোতায়েন করা হচ্ছে।



 বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির সফরের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি শান্তি নিকেতনের অমরকুঞ্জে নিরাপত্তা আধিকারিকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  বৈঠকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।  প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই বৈঠকে সাপের উপস্থিতির বিষয়টি উঠে আসে।  এরপর বন দফতরের বিশেষ দলকে ডাকা হয়েছে।


 

 রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তায় পুরো জেলা প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।  রাষ্ট্রপতি, নিরাপত্তা পরিচালক, জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের নিরাপত্তায় কোনও ঘাটতি থাকা চলবে না।  তিনি এ বিষয়ে পুরোপুরি অবগত এবং প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  নিরাপত্তা আধিকারিকদের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির সফরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা হয়।  রাষ্ট্রপতি যে সমস্ত সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করতে পারেন, সেখানেও আধিকারিকরা পরিদর্শন করেছেন।  প্রশাসনিক আধিকারিকদের রবীন্দ্র ভবন, রবীন্দ্র গেস্ট হাউস, বিনয় ভবন এবং হেলিপ্যাড পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।  পাশাপাশি রাস্তার ধারে বেড়ে ওঠা ঘাস কাটারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শনে গিয়ে নিরাপত্তা আধিকারিকরা সাপের কথা জানতে পারেন।  জানা গেছে, এই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত সাপ পাওয়া যায়।  নিকটবর্তী বন, পম্পা হ্রদ এবং আশেপাশের এলাকাগুলো সাপের আস্তানা।  সে কারণে রাষ্ট্রপতির সফরের সময় সাপ ক্যাচার রাখার নির্দেশ দিয়েছেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা।  বন বিভাগের ADFO শ্রীকান্ত ঘোষ বলেন, উদয়ন ভবন, কলা ভবন সহ বিশ্বভারতীর অনেক জায়গায় সাপের উপস্থিতি প্রকাশ্যে এসেছে।  গাছপালা ও বনের আধিক্যের কারণে সে সব জায়গায় সাপ আছে।  সাপগুলো ধরতে বন দফতরের বিশেষ দলকে ডাকা হয়েছে।  সাপের প্রতি বিশেষ নজর রাখার জন্য স্নেক বর্ডারদেরও ডাকা হয়েছে।  


 

 অন্যদিকে, বিশ্বভারতী এবং নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে টানাপোড়েন চলছে।  অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ তুলেছে বিশ্বভারতী।  একই সঙ্গে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সঙ্গেও ছাত্রদের একাংশ মারামারি করছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও অধ্যাপকদের একাংশের সঙ্গে প্রশাসনেরও বিরোধ রয়েছে।  এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির বিশ্বভারতী সফরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।  এ ব্যাপারে প্রশাসনও সজাগ রয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad