আজকাল শহরগুলিতে ক্রমবর্ধমান ভিড় বাড়িগুলিকে খুব ছোট করে তুলেছে। সাধারণত মানুষ নিজের বাড়ি তৈরি না করে ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট ইত্যাদি কেনে। এ কারণে তারা চাইলেও বাস্তুশাস্ত্রে বর্ণিত নিয়ম মানতে পারছেন না। যার কারণে অনেক ধরনের স্থাপত্য ত্রুটি দেখা দেয়।
বাড়িতে রান্নাঘর এবং বাথরুম একসঙ্গে থাকা উচিৎ নয়। সংলগ্ন রান্নাঘর এবং বাথরুম অনেক বড় বাস্তু ত্রুটি তৈরি করে, অর্থের ক্ষতি করে। এগুলো বাড়ির মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
বাড়ির কেন্দ্রীয় অংশ সবসময় খালি রাখুন। এই জায়গায় ভারী জিনিস রাখার ভুল করবেন না, তা না হলে ঘরে পজিটিভ শক্তি প্রবেশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এখানে সর্বনিম্ন পরিমাণ জিনিস রাখার চেষ্টা করুন।
বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ উঁচু রাখুন, যার কারণে বাড়ির লোকেরা দ্রুত উন্নতি করে। বাড়ির লোকেরা তাদের কাজে সাফল্য পায়। এখানে এটি একটি ঢিবি বা একটি প্ল্যাটফর্মের মতো তৈরি করা যেতে পারে।
পরিবারের প্রধান বা অন্য কোনো সদস্যের সাপ্তাহিক শনির দশা চললে। এর পাশাপাশি যদি কুণ্ডলীতে শনি দুর্বল থাকে তবে পদ্ধতিগতভাবে বাড়ির পশ্চিম দিকে শনি যন্ত্র স্থাপন করুন। এছাড়াও প্রতিদিন তার পূজা করুন, জীবনের সমস্ত ঝামেলা দূর হয়ে যাবে।
বাড়িতে যদি ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে, তাহলে বাড়ির উত্তর দিকে তোতাপাখির ছবি লাগান। এতে করে শিশুদের একাগ্রতা বাড়ে এবং তারা দ্রুত সাফল্য পায়।
বাড়ির উত্তর দিকে একটি পদ্ম ফুলের উপর বসে থাকা দেবী লক্ষ্মীর একটি ছবি রাখুন, যাতে তিনি স্বর্ণমুদ্রা বর্ষণ করছেন। ছবিতে হাতি থাকলে ভালো হয়। এর কারণে ঘরে সর্বদা সুখ-সমৃদ্ধি থাকে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment