"মোদীর বিরোধিতা করতে গিয়ে দেশবিরোধী হয়ে উঠেছেন", রাহুলকে আক্রমণ স্মৃতি ইরানির

গত দিনে লন্ডনে দেওয়া কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিবৃতিতে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে।  এবার বুধবার রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।  তিনি বলেন, "রাহুল গান্ধী টুকডে টুকডে গ্যাংয়ের সঙ্গে রয়েছেন।  লন্ডনে তিনি ভারতের গণতন্ত্রকে অপমান করেছেন।  মোদীর বিরোধিতা করতে গিয়ে তিনি দেশবিরোধী হয়ে উঠেছেন।  তার বক্তব্যের জন্য দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।"

 কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছেন, রাহুল গান্ধীর তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।  তিনি দেশের প্রতিষ্ঠানকে অপমান করেছেন।  তিনি আরও বলেন, “সে টুকডে টুকডে গ্যাংয়ের সঙ্গে আছে।  লন্ডনে রাহুল ভারতের গণতন্ত্রকে অপমান করেছেন।  রাহুল বিদেশে দেশকে অপমান করেছেন।”

 ইরানি বলেন, “রাহুল গান্ধী এমন একটি দেশে গিয়ে বিদেশী বাহিনীকে ডেকেছিলেন যার ইতিহাস ভারতকে দাসত্ব করার।  ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ছিন্নভিন্ন করার সময়, রাহুল গান্ধী তার দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন যে কেন বিদেশী বাহিনী এসে ভারতে আক্রমণ করে না।  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি তার ঘৃণা ভারতের প্রতি বিদ্বেষে পরিণত হয়েছে।"  তিনি আরও বলেন, “আমি রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, আপনি বিদেশে বলেছেন যে দেশের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর কথা বলার অধিকার নেই।  যদি তাই হয়, ২০১৬ সালে, যখন দিল্লীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ভারত তেরে টুকদে হঙ্গে' স্লোগান তোলা হয়েছিল, আপনি সেখানে গিয়ে সমর্থন করেছিলেন, তা কী ছিল?"

এর আগে মঙ্গলবার, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন যে রাহুলের উচিৎ গণতন্ত্রের পতন, লন্ডনের মিথ্যা ছড়ানো নিয়ে কেমব্রিজে কান্নাকাটি করা বন্ধ করা এবং তার বিদেশী বন্ধুদের সাহায্য চাওয়ার পরিবর্তে ভারতের ভোটারদের মুখোমুখি হওয়া উচিৎ।  তিনি আরও বলেন যে রাহুল গান্ধী একের পর এক নির্বাচনে হেরে বিদেশের মাটিতে দেশের সমালোচনা করছেন, অন্যদিকে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং তার মিত্ররা এই নির্বাচনে কংগ্রেসকে পরাজিত করে জয়লাভ করে চলেছে।

 অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “তিনি (রাহুল গান্ধী) তার বিদেশী বন্ধু, বিদেশী সংবাদপত্র এবং চ্যানেলের কাছ থেকে যতই সাহায্য চান না কেন, বিদেশীরা কখনই ভারতে আধিপত্য করতে পারে না।  আপনাকে এখানে ভোট দিতে হবে, ইংল্যান্ড বা আমেরিকায় নয়।  রাহুল গান্ধীর উচিৎ কেমব্রিজের কান্নাকাটি করা, লন্ডনের মিথ্যাচার করা এবং সংসদে এসে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।”