নববর্ষের সকালেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ১২ জনের মৃত্যু। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। শনিবার সকালে মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। মুম্বাই-পুনে ওল্ড হাইওয়ের খোপোলি এলাকায় শিংরোবা মন্দিরের পিছনে খাদে পড়ে যায় একটি প্রাইভেট বাস। এই দুর্ঘটনায় বাসে থাকা ১২ যাত্রীর মৃত্যু এবং ২৫ জনের বেশি যাত্রী আহত হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সেইসঙ্গে স্থানীয় লোকজনও উদ্ধার অভিযানে পুলিশকে সহযোগিতা করছেন।
রায়গড় জেলার এসপি সোমনাথ ঘার্ঘে জানান, বাসটিতে ৪০ থেকে ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ১২ জন যাত্রী মারা গেছে এবং ২৫ জনেরও বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। বাসটি সরিয়ে নিতে ক্রেন ডাকা হয়েছে। গোরেগাঁও এলাকার একটি সংগঠনের লোকজন বাসে যাতায়াত করছিলেন। তারা সবাই পুনেতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। পুনে থেকে ফেরার সময় তাদের বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
এসপি সোমনাথ ঘার্ঘে জানিয়েছেন, বাসটি প্রায় ২০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়; চালকের গাফিলতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। এসপি জানান, আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদের জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
অন্যদিকে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত লোকজনের মতে, এ পর্যন্ত মাত্র ২০ থেকে ২৫ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ক্রেনের সঙ্গে দড়ি বেঁধে উদ্ধার করা হচ্ছে। বাসটি গভীর খাদে পড়ে যাওয়ায় উদ্ধার কাজে সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় ট্র্যাকারদের একটি দল এবং পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেডের একটি দল উদ্ধারে নিয়োজিত রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, বাসটি খাদে পড়ে গেলে বিকট শব্দ হয়, শব্দ শুনে মনে হয় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসটি দেখা যায়নি, কেননা ২০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় বাসটি। আমরা বিষয়টি স্থানীয় থানায় জানিয়েছি। থানার টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের নামিয়ে দেখা যায়। বাসে লোকজন চিৎকার করছিল। তড়িঘড়ি করে বাসের কাঁচ ভেঙে কয়েকজনকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
No comments:
Post a Comment