দিলীপ ঘোষের জেলা সফরের মাঝেই পদ্ম শিবিরে ধাক্কা। তৃণমূলে যোগ ২০০ পরিবারের। ঘটনা মালদা জেলার।
বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে মালদহতে উপস্থিত রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর এই দিনই (শনিবার) চাঁচল-১ নং ব্লকের বিজেপির অন্যতম শক্ত ঘাঁটি কলিগ্রামে ধ্বস দেখা দিল। জানা গিয়েছে, বিজেপির ২০০ টি পরিবার তৃণমূলে যোগ দেয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাজনৈতিক মহলে সৃষ্টি হয়েছে আলোড়ন। তৃণমূলে যোগ দিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ও পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তারা। উদাসীনতার অভিযোগ তুলে দল ত্যাগ করেন ওই দুইশোটি পরিবারের কর্মী ও সমর্থকেরা।
শনিবার দুপুরে চাঁচলে তৃণমূলের বিধায়কের দলীয় কার্যালয়ে চাঁচল-১ ব্লক নেতৃত্ব ও দলীয় বিধায়কের উপস্থিতিতে কলিগ্রামের পূর্ব, দক্ষিণ ও মধ্য এলাকা থেকে দীর্ঘদিন বিজেপির সঙ্গে যুক্ত কর্মী-সমর্থকদের প্রায় ২০০ টি পরিবার ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। কলিগ্রাম অঞ্চল তৃণমূলের প্রধান রেজাউল খাঁনের নেতৃত্বে ও বিধায়কের হাত ধরে এই যোগদান হয়।
তৃণমূলের দাবী, কলিগ্রাম অঞ্চলে প্রায় ২০০ টি বিজেপি পরিবার এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা এলাকায় বিজেপি করতেন। কিন্তু ওই বুথে দায়িত্বে থাকা বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যদের উদাসীনতা ও অসহযোগিতার জন্যই তারা তৃণমূলকে বেছে নিয়েছে।এমনটাই দাবী তৃণমূল নেতৃত্বের।
এদিকে বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়ে নাগরী দাস ও সহদেব দাস একযোগে জানান, 'দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে ছিলেন। তাদের এলাকায় দায়িত্বে ছিলেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য। তারা এলাকায় কোনও কাজ করেননি।'
'দলীয় কর্মসূচিতে দিলীপ বাবুর মতো বিজেপির নেতৃত্বরা যতবারই আসবেন, ঠিক ততবারই পদ্ম শিবিরে এই ধরনেরই বড়সড় ভাঙন দেখা দেবে বলে মন্তব্য করেন চাঁচলের তৃণমূলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। বিধায়ক আরও বলেন, 'ঐ পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির সদস্যরা এলাকার মানুষের স্বার্থে কাজ করেনি। তাদের দ্বারা এলাকায় কোনও উন্নয়ন হবে না, এটা অনুধাবন করেই তারা দিদির দলে সামিল হলেন।'
তৃণমূলের চাঁচল-১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি আফসার আলি বলেন, 'ভোটের মুখে এই দু'শো টি পরিবারের কর্মী সমর্থকেরা আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। নির্বাচনের মুখে এটা একটা অত্যন্ত শুভ সংকেত।'
কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেজাউল খাঁন যোগদান প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বলেন, 'রাজ্যের তৃণমূল সরকার মানুষের স্বার্থে একাধিক জনমুখী প্রকল্প চালু করেছে। তারা বুঝতে পেরেছেন যে, তৃণমূল ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।তাই তো তারা বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আরও বিপুল সংখ্যক বিজেপির নেতা ও কর্মীরা দলে যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন, দাবী করেন তিনি।
এদিকে এই ঘটনায় পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি নেত তথা কলিগ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা সুভাষ কৃষ্ণ গোস্বামী। তিনি বলেন, "দু'শো নয়, মাত্র দু'টি পরিবার যোগ দিয়ে তৃণমূলে। এতে বিজেপিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে দলে টেনেছে তৃণমূল।"
No comments:
Post a Comment