১২ বছর পর উড়ল লাল ঝাণ্ডা! শাসনে শক্তি বৃদ্ধি বামেদের
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা: এক সময় সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি শাসন, আর সেই শাসনেই ১২ বছর পর উড়ল লাল ঝাণ্ডা, খুলল সিপিআইএমের দলীয় কার্যালয়। সেইসঙ্গেই শাসনে পঞ্চায়েতের আগে বড়সড় ভাঙ্গন তৃণমূলে, বুথ সভাপতি সহ ৪০০ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা যোগদান করলেন সিপিএমে।
বারাসত ২ ব্লকের শাসন মজিদ মাস্টারের সিপিএমের সম্রাজ্য ছিল, সেই সম্রাজ্যের পতন হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে আসে। দীর্ঘ ১২ বছর সেখানে লাল ঝাণ্ডা ওড়েনি। হঠাৎ সেখানে সিপিআইএমের লাল ঝাণ্ডার ওড়ার পাশাপাশি এলাকায় পুলিশি পাহারায় ১২ বছর পর পুনরায় খুলল সিপিএমের দলীয় কার্যালয়। পাশাপাশি বারাসত ব্লক ২-এ তৃণমূল কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরে। নাজরুন ইসলাম রমাগাছি অঞ্চলের তৃণমূল বুথ সভাপতি সহ ৪০০ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক আজ সিপিএমে যোগদান করলেন। শুক্রবার বিকেলে এই যোগদান কর্মসূচি হয়।
সিপিএমে যোগদানকারী তৃণমূল নেতা আব্দুল সাত্তার বলেন, 'দলের নেতাদের কথা মতন টাকা দিতে না পারায় তৃণমূল ছেড়ে সিপিএম-এ যোগদান।' আবার কারও অভিযোগ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হয়ে তৃণমূল ছেড়েছেন। তবে, এতে পঞ্চায়েতের আগে বারাসত ব্লক ২-এ শক্তিশালী হল সিপিআইএম, একথা বলাই যায়।
সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন মানুষ। তার ফলস্বরূপ এদিন তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিলেন ৪০০ জন নেতা-কর্মী। আগামী দিনে সাহসে ভর করে আরও মানুষ আসবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অপরদিকে, এই যোগদানের বিষয গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের বুথ সভাপতি শম্ভু ঘোষ। তিনি বলেন, 'ওদের কথায় কান দেওয়ার কিছু নেই। ওরা শূন্য, মরা গরু, ভাগাড়ে পড়ে রয়েছে।' যারা যোগদান করেছে তাদের অনেক আগেই দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন এবং এতে পঞ্চায়েতে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment