জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের মারামারিতে জখম ৬। অভিযোগ, জমির মালিক বর্গাদারের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলাকারীদের সঙ্গে ছিল বন্দুকও। জখমের তালিকায় আছে এক মহিলা ও শিশু । শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থানার কীর্তিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণমাটি এলাকায়।উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শাসনের কীর্তিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণমাটি গ্রামে প্রায় দু'বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করছিলেন আবুবক্কার সিদ্দিক। অভিযোগ, শুক্রবার হঠাৎ জমি দখল করতে যায় মালিকপক্ষ । লাঠি , কুড়ুল, বন্দুক ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আবুবক্কার সিদ্দিক সহ তার পরিবারের ওপর হামলা করে। এই ঘটনায় আবুবক্কার ও তার স্ত্রী সহ মোট পাঁচ জন গুরুতর জখম হন। বর্তমানে তারা বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আক্রান্তদের দাবী, ১৯৭৪ সাল থেকে জমিতে চাষাবাদ করছেন তারা। বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। মালিক পক্ষকে জমিতে কিছু না করার নির্দেশ দেয় আদালত। তবুও মালিক পক্ষ, জমিতে গাছ লাগাতে যান। বাঁধা দেন বর্গাদারের পরিবার। তাদের ওপর চড়াও হন তারা।
আক্রান্ত জাকির হোসেন বলেন, "'আমরা বর্গাদার, জমিতে চাষ করে খাই। আমাদের ভিটেমাটি দখল করে নিচ্ছে, আমাদের ওপর জুলুম করছে। যারা এই হামলা করেছে, তারা তৃণমূল করে।"
আর এক আক্রান্ত নূর হোসেন বলেন, "আমাদের ওপর লাঠিসোঁটা, কুড়ুল, বন্দুক নিয়ে চড়াও হয় ১৫-১৬ জন লোক। গাছ লাগাতে বাধা দিতেই আমার ভাইকে মারে। মা বাঁধা দিতে গেলে ছেলেরা তাঁর গায়েও হাত তোলে। আমাকেও কুড়ুলের কোপ দিয়েছে।"
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি মান্নান আলি বলেন, "এই হামলার পিছনে রয়েছে জমি কোন্দল। ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। হামলা করা ঠিক হয়নি।"
ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। দুই পক্ষই শাসন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
No comments:
Post a Comment