সব শিশুই ফুলের মতো মিষ্টি। তাদের কথা, হাসি সবটাই যেন এক অন্য মুগ্ধ করা জগৎ দিয়ে তৈরী হয়ে থাকে। তাদের সঙ্গে কথা বললে, খেলা করলে হাজার কারণে খারাপ থাকা মন ভালো হয়ে যেতে বাধ্য।
কিন্তু শিশুর যদি পড়তে, লিখতে, শুনতে এবং কথা বলতে সমস্যা হয়, তাহলে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ শিশুও অটিজমের কবলে পড়তে পারে।
শিশুরা যাতে এই রোগের শিকার না হয় তার জন্য, বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস প্রতি বছর ২রা এপ্রিল বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। এই দিনে সকলকে অটিজম সম্পর্কিত তথ্য সম্পর্কে জানানো হয়, যাতে সময়মতো এর চিকিৎসা করা যায়। আসুন তাহলে জেনে নেই অটিজমের লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসাসম্পর্কে -
অটিজম :
অটিজমকে মানসিক রোগকে বলা হয়। এই রোগে মস্তিষ্কের বিকাশ সম্পূর্ণ হয় না। এ রোগের কবলে পড়ার পর শিশু বা যে কোনও ব্যক্তি বাইরের জগৎ বাদ দিয়ে নিজের জগতে হারিয়ে যায়। তাই আমরা সেই শিশুকে বা ওই ব্যক্তিকে প্রতিবন্ধী ভাবতে শুরু করি। এটি একটি মিথ মাত্র। তবে অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রতিবন্ধী হয় না। এটা সত্য যে তারা সমাজের সঙ্গে মিশতে ইতস্তত বোধ করে।
লক্ষণ:
অটিজমে আক্রান্ত শিশু মানসিকভাবে দুর্বল। অটিজম থাকলে মৃগীরোগের সমস্যাও হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চার কথা বলতে ও শুনতেও অসুবিধা হয়। এই রোগটি যখন বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে তখন একে অটিস্টিক ডিজঅর্ডার বলা হয়। যখন লক্ষণগুলি কম প্রাধান্য পায় তখন একে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার বলা হয়।
কীভাবে অটিজম শনাক্ত করা যায়:
যখন শিশুর আত্মবিশ্বাস কম থাকে এবং কারো সঙ্গে কথা বলার সময় সে চোখের যোগাযোগ করে না। আর কথা বলতে গিয়ে সে নার্ভাস হয়ে যায়।
এই ধরনের শিশুরা দীর্ঘ সময় একা থাকতে পছন্দ করে। এরা কারো সঙ্গে বসতে পছন্দ করে না।
এই রোগের কবলে আসার পর শিশুরা কথা বলার সময় হাত ব্যবহার করে না।
যেসব শিশু শুধুমাত্র এক ধরনের খেলা খেলতে পছন্দ করে তারাও অটিজমের কবলে পড়তে পারে।
অটিজমে আক্রান্তরা কোন উত্তর দিতে অক্ষম।
এই ধরনের শিশুরা কোন সংকেত দিতে সক্ষম হয় না।
এই ধরনের শিশুদের পক্ষে পরিবর্তন মেনে নেওয়া সহজ নয়।
অটিজম হওয়ার কারণ কী?
শিশুর জন্মের আগে এবং পরে প্রয়োজনীয় টিকা না দিলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গর্ভাবস্থায় মায়ের কোনও গুরুতর অসুস্থতা থাকলে এই সমস্যা হতে পারে।
সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুর গর্ভে সঠিকভাবে বিকাশ হয় না। এ ধরনের শিশুরাও অটিজমের কবলে পড়তে পারে।
অনেক গবেষণা অনুসারে, ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় বেশি অটিজমের শিকার হয়।
No comments:
Post a Comment