আজকের দ্রুত গতির জীবনধারায় নিজেকে ফিট রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সবার জন্যই। একজন ব্যক্তি তখনই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলে বিবেচিত হয় যখন সে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ফিট।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সারা বিশ্বের লোকের কাছে স্বাস্থ্য সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ৭ই এপ্রিল 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' হিসেবে পালন করে। এটি প্রথম ১৯৫০ সালে পালিত হয়েছিল। প্রায়ই বলা হয় স্বাস্থ্য ভালো রাখতে জীবনধারা এমন হওয়া উচিৎ। কিন্তু আমাদের অনেকেরই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এরকম অনেক মিথ আছে। যা আমরা বহু বছর ধরে অনুসরণ করে আসছি।
আজ আমরা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এই ধরনের কিছু কথা জেনে নেব। আসুন জেনে নেই মিথ, আর এর পেছনের কিছু সত্য-
দাঁড়িয়ে জল পান :
জল পান করা আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য দুটোর জন্যই খুবই উপকারী। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে শরীরে কখনই জলের অভাব না হয়। কিন্তু প্রায়ই শোনা যায় যে দাঁড়িয়ে জল পান করা উচিৎ নয়। জল পান করার সময় শুধু জলের তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখুন। যখন দাঁড়িয়ে জল পান করা হয়, তখন তা খাবারের পাইপের মধ্য দিয়ে দ্রুতগতিতে চলে যায় এবং পেটের নীচের অংশে পড়ে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
যে গতিতে জল যায় পেটে এবং আশেপাশের অঙ্গগুলিরও ক্ষতি করতে পারে। এটি হজমকেও প্রভাবিত করতে পারে। কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এমনকি দাঁড়িয়ে জল পান করলে বাতের সমস্যাও হতে পারে। দাঁড়িয়ে জল পান করলে পিপাসাও বাড়ে কমে না।
খাবার খাওয়ার পরপরই ঘুম :
খাবার খাওয়ার পর হাঁটা সবসময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। খাবার খাওয়ার পর হাঁটা মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে রাখে। মেটাবলিজম সবসময় নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিৎ, তাই খাবার খাওয়ার পর হাঁটা জরুরী।
হাঁটলে পেট সব সময় ভালো থাকে। এছাড়াও, খাবার সঙ্গে সঙ্গে হজম হয়। এছাড়া খাবার খাওয়ার পর হাঁটলে শরীরে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়। আর যার কারণে মানসিক চাপ কমে। শুধু তাই নয়, শরীরে রক্ত চলাচলও ভালো থাকে। ডায়াবেটিস রোগীকে খাবার খাওয়ার পর অবশ্যই হাঁটতে হবে। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা সবসময় নিয়ন্ত্রণে থাকে।
No comments:
Post a Comment