অনেক সময় ধুলোর সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকের হাঁচি এবং কাশি শুরু হয়। এটি হওয়ার কারণ হল অ্যালার্জি। যার নাম অ্যালার্জিক রাইনাইটিস।
এই অ্যালার্জিক রাইনাইটিস সারা বিশ্বব্যাপী ১০ থেকে ৩০ শতাংশ লোকের মধ্যে দেখা যায়। একজন ব্যক্তি ধুলোকণা,লোমশ প্রাণীর সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার অ্যালার্জি শুরু হয়ে যায়। আসুন এর লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
লক্ষণ:
নাক দিয়ে জল পড়া
নাক চুলকানো
জলভরা চোখ
লাল চোখ
গলা চুলকানি
মুখে ভারী ভাব
কান চুলকানো
এই লক্ষণগুলো যদি ১০ থেকে ১৫ দিন স্থায়ী হয়, তাহলে ব্যক্তির শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এবং মুখে ফোলাভাব দেখা দেয়। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস-এর উপসর্গগুলো হালকা হলে আমরা আরামে ঘুমাতে পারি, কিন্তু এই উপসর্গ বাড়তে থাকলে রাতে ঘুমাতে অনেক কষ্ট হয়।
ধরন :
এলার্জিক রাইনাইটিস মৌসুমী এবং দীর্ঘস্থায়ী দু প্রকার। মৌসুমী রাইনাইটিস বেশিরভাগ বসন্ত এবং শরৎকালে ঘটে, এটি সাধারণত বাহ্যিক অ্যালার্জির কারণে হয়।
দীর্ঘস্থায়ী রাইনাইটিস বছরের যে কোনও সময় হতে পারে। এটি স্প্রে, ধূলিকণার মতো অভ্যন্তরীণ পদার্থ দ্বারা সৃষ্ট। তাপমাত্রার ওঠানামা, হঠাৎ ঠান্ডা, সিগারেটের ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসা, চুলের স্প্রে, সুগন্ধি, কাঠকয়লার ধোঁয়া, অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হতে পারে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা:
আদা সেদ্ধ করে এর জল পান করুন
লবঙ্গ চা পান করুন
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান
হলুদের ক্বাথ পান করুন
পুদিনা চা পান করুন।
No comments:
Post a Comment