হিন্দুধর্মে বিবাহিত মহিলার জন্য ষোলো শ্রিংগার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমস্ত উত্সব এবং বিশেষ অনুষ্ঠানে বিবাহিত মহিলারা ষোলো শ্রিংগার করেন। অন্যদিকে, দৈনন্দিন জীবনেও বিবাহিত মহিলারা কপালে বিন্দি, গলায় মঙ্গলসূত্র, পায়ে চুটকি, চুড়ি ইত্যাদি পরে। এমনটি করলে স্বামীর আয়ু দীর্ঘ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। তবে নারীরা এক্ষেত্রে এমন ভুল করে থাকেন, যা তাদের দাম্পত্য জীবনের জন্য বড় ঝামেলার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বিবাহিত মহিলাদের কখনই তাদের বিশেষ জিনিসগুলি কারও সাথে শেয়ার করা উচিৎ নয় কারণ অনেক সময় মহিলারা এই জিনিসগুলি তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন ইত্যাদির সাথে শেয়ার করেন।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বিবাহিত মহিলাদের তাদের চুড়ি, নুপুর এবং পায়ের চুটকি কারও সাথে ভাগ করা উচিৎ নয়। এতে করে নারীর দাম্পত্য জীবনে সমস্যা হতে পারে। স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে।
আপনার মঙ্গলসূত্র কখনো কারো সাথে শেয়ার করবেন না। তার মানে আপনার মঙ্গলসূত্র কাউকে দেবেন না বা নেবেন না। এটি করা আপনার বিবাহিত জীবন এবং মধুচন্দ্রিমার জন্য মোটেও ঠিক নয়। বিয়ের সময় স্বামী তার স্ত্রীর গায়ে মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দেন এবং স্ত্রীর কখনই তার মঙ্গলসূত্র কাউকে দেওয়া উচিৎ নয়।
- সনাতন ধর্মে বিবাহের সময় স্বামী তার স্ত্রীর সিথিতে সিঁদুর পূর্ণ করে এবং এটি সুহাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। তাই বিবাহিত মহিলারা প্রতিদিন তাদের সিথি পূরণ করে। এমনকি তাদের সিঁদুর কারো সাথে শেয়ার করা উচিৎ নয়।
একইভাবে, বিয়ের পোশাকটিও কাউকে পরতে দেওয়া উচিৎ নয়। এতে করে আপনার দাম্পত্য জীবন বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে।
এ ছাড়া আপনার মাসকারা কারো সাথে শেয়ার করবেন না। এতে করে আপনার প্রতি স্বামীর ভালোবাসা কমতে থাকে। এর পাশাপাশি দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এর জন্য মাস্কারাও শেয়ার করবেন না।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment