শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে একের পর এক যুক্ত হচ্ছে শাসক দল তৃণমূলের নেতাদের নাম। তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতারের পর এবার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হল আরও এক বিধায়কের নাম। নদিয়ার তেহাট্টা থেকে তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট শুনানি করে তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তাদের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জমা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দাবী করা হয়েছে যে অভিযুক্ত বিধায়কের বিরুদ্ধে কিছু নথি পাওয়া গেছে, যার কারণে সিবিআই এই বিষয়টিকে হাতে নিতে চায়। এই বিষয়ে শুনানি করতে গিয়েই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
মামলার শুনানি করতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি আইওকে ১৫ দিনের মধ্যে মামলার সমস্ত নথি CBI-এর কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তার নির্দেশে বলেছেন, “তদন্ত করা ব্যক্তি রাজ্যের প্রভাবশালী ব্যক্তি হলেও তদন্ত স্থানান্তর করা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে।"
তিনি বলেন, “শুধু তাই নয়, তদন্ত প্রয়োজন, স্বচ্ছ তদন্তও দরকার, যাতে রাষ্ট্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর মানুষের আস্থা থাকে, কিন্তু একই মামলা দুটি তদন্তকারী সংস্থাকে দিলে জটিলতা আরও বাড়বে। বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। ইতিমধ্যেই কয়েকজন প্রভাবশালীকে সংশোধনাগারে পাঠিয়েছে সিবিআই। বাকি অভিযুক্তদের বক্তব্য আদালতকে মূল অভিযুক্তের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহের মধ্যে ফেলে দিতে পারে না।”
চাকরি দেওয়ার নামে ৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে নদিয়ার তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার আদালতে মামলার শুনানিতে সিবিআই বলেছে যে তারা নিয়োগে দুর্নীতির শক্তিশালী প্রমাণ সহ নথি পেয়েছে। তিনি বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার একটি বেঞ্চকে বলেছিলেন যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নদিয়ায় তেহাট্টার বিধায়কের নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত করা উচিৎ।
দমকল বিভাগ সহ রাজ্যের অনেক সরকারি দপ্তরে এই তৃণমূল বিধায়কের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।এই মামলায় তৃণমূল বিধায়ক ছাড়াও আরও তিনজনের নাম জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বিধায়ক তাপস সাহাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আদালত।
No comments:
Post a Comment