এই রহস্যময় পৃথিবীতে রয়েছে নানা ধরনের প্রাণী । তারমধ্যে একটি হল হর্সশু কাঁকড়া এর রক্ত নীল। এটি চেহারায়,একটি মাকড়সা এবং একটি দৈত্য-আকারের লাউস-সদৃশ প্রাণীর মধ্যে একটি প্রজাতি। এই হর্সশু কাঁকড়ার বয়স ডাইনোসরের চেয়েও বেশি। তারা কমপক্ষে ৪৫০ মিলিয়ন বছর ধরে এই গ্রহে রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেই এর সম্পর্কে-
আটলান্টিক হর্সশু কাঁকড়া এখন পর্যন্ত লক্ষাধিক প্রাণ বাঁচিয়েছে। বিজ্ঞানীরা ১৯৭০ সাল থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ওষুধের বন্ধ্যাত্ব পরীক্ষা করতে এই প্রাণীর রক্ত ব্যবহার করছে। বায়োমেডিকাল ব্যবহারের জন্য প্রতি বছর প্রায় ৫০ মিলিয়ন আটলান্টিক হর্সশু কাঁকড়া ধরা হয়। এর এক লিটার রক্তের দাম প্রায় ১১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
এই কাঁকড়ার হৃদপিন্ডের কাছে খোলসে ছিদ্র করে ত্রিশ শতাংশ রক্ত বের করে তার পর কাঁকড়াগুলোকে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ কাঁকড়া এই প্রক্রিয়ায় মারা যায় এবং বাকি স্ত্রী কাঁকড়া প্রজননে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়।
এর রক্তের রং নীল কারণ এর রক্তে তামা থাকে। আসলে এদের রক্তে একটি বিশেষ রাসায়নিক আছে, যা ব্যাকটেরিয়াদের চারপাশে জমা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে বিশ্বে মোট চার প্রজাতির হর্সশু কাঁকড়া অবশিষ্ট রয়েছে। কিন্তু চারটি প্রজাতিই বায়োমেডিকেল সেক্টরে এবং মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত মাছ ধরার কারণে, সেইসঙ্গে দূষণের কারণেও বেঁচে থাকার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানা গেছে।
No comments:
Post a Comment