এদেশের গহনার রয়েছে বিদেশি মালিকাধীনে!
পিঙ্কি রায়,১৯ এপ্রিল: একটা সময় ছিল যখন আমাদের দেশকে সোনার পাখি বলা হত । এদেশে বিশ্বের অন্য যেকোনও স্থানের চেয়ে বেশি সোনা, হীরে, মুক্তা এবং মূল্যবান রত্ন রয়েছে। আর এ কারণেই সময়ে সময়ে এদেশে ডাকাত ও হানাদারদের হাতে অনেক লুট হয়েছে। ব্রিটিশরাও তাদের মধ্যে অন্যতম।
দেশে শত বছরের শাসনামলে তারা এদেশ থেকে প্রচুর লুটপাট করে ব্রিটেনের কোষাগার ভরাট করেছে। আজ আমরা ব্রিটিশ রাজপরিবারের এমনই কিছু গহনা সম্পর্কে জানবো যা এই সময়ে তাদের দখলে থাকলেও বাস্তবে তা এদেশের সম্প্রতি। সবচেয়ে বড় কথা এসব অলঙ্কারের দাম কয়েক কোটি টাকা-
১৯টি বড় পান্না দিয়ে সজ্জিত কোমরবন্ধ:
১৯টি বড় পান্না দিয়ে সজ্জিত কোমরবন্ধ যা মহারাজা শের সিং তার ঘোড়াকে সাজাতেন। সোনার তৈরি এই কোমরে মোট ১৯টি বড় সাইজের পান্না জড়ানো রয়েছে। দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এই অলঙ্কারগুলি ১৯১২ সালের দিকে ভারত থেকে ব্রিটেনে আনা হয়েছিল। আর আজ এই ভারতীয় গহনা ব্রিটিশ রাজপরিবারের মালিকানাধীন। এর দামের কথা বললে, বর্তমান সময়ে এটি কয়েক কোটি টাকার অলঙ্কার।
২২৩টি বড় মুক্তার পুঁতি:
এই মালাটিতে মোট ২২৪টি মূল্যবান মুক্তা জড়ানো রয়েছে। দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৮৭ সালে রয়্যাল জুয়েলারির উপর করা একটি গবেষণায় জানা গেছে যে এই ২২৪ মুক্তার নেকলেসটি আসলে পাঞ্জাবের। এটি পাঞ্জাব থেকেই ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়া হয়, তারপরে ব্রিটিশ রাজপরিবার এর অধিকারীতে পরিণত হয়।
সুন্দর রুবি নেকলেস:
৩২৫.৫ ক্যারেট রুবির দুর্দান্ত নেকলেসটি আজ ব্রিটিশ রাজপরিবারের একটি অংশ হতে পারে, তবে ১৯৯৬ সালে একাডেমিক সুসান স্ট্রং দ্বারা করা একটি গবেষণায় জানা যায় যে এই নেকলেসটি মঙ্গোল বিজয়ী তৈমুরের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর সঙ্গে, এই গবেষণায় দেখা গেছে যে এই রুবি-দেখানো পাথরটি আসলে রুবি থেকে আলাদা একটি স্পিনেল। স্পিনেলকে লাল রঙের পাথর বলা হয়।
এটি প্রথম ১৯৬৯ সালের বিবিসি ডকুমেন্টারিতে চিত্রায়িত হয়েছিল যখন এটি দ্বিতীয় এলিজাবেথ জনসাধারণের কাছে উপস্থাপন করেছিলেন। এই অত্যাশ্চর্য নেকলেস ভারত থেকে যুক্তরাজ্যে আনা হয়েছিল। এই নেকলেসটির দামও আজ কয়েকশো কোটি টাকা।
No comments:
Post a Comment