দেশে ও বিশ্বে মহাদেবের অনেক রহস্যময় মন্দির রয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে লোকেরা সেই সব মন্দিরে দর্শন করতে যায় । হিমাচল প্রদেশের কুল্লুতে অবস্থিত এমনই এক রহস্যময় এবং অলৌকিক মন্দিরের কথা আজকে আমরা জেনে নেব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক-
এই মন্দিরটি কুল্লু শহরের বিয়াস ও পার্বতী নদীর সঙ্গমস্থলের কাছে একটি উঁচু পাহাড়ের মধ্যে অবস্থিত। এই মন্দিরটি বিজলী মহাদেব নামে পরিচিত।
হিমাচল প্রদেশের কুল্লু শহরের উঁচু উপত্যকায় নির্মিত এই মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে বিশালাকার সাপের আকারে। ভগবান শিব এই সাপটিকে বধ করেছিলেন। প্রতি বারো বছরে এই মন্দিরে প্রচণ্ড বজ্রপাত হয়। এই যার কারণে মন্দিরে তৈরি শিবলিঙ্গ ভেঙে যায়।
শিবলিঙ্গ ভেঙে গেলে, মন্দিরের পুরোহিতরা এর টুকরো সংগ্রহ করে আটা এবং কিছু লবণবিহীন মাখন ইত্যাদি দিয়ে তৈরি পেস্ট দিয়ে আবার এই শিবলিঙ্গ তৈরি করে। এই অবস্থায় শিবলিঙ্গ আবার আগের মতই আকৃতি ধারণ করে। তাই এই মন্দিরটি মাখন মহাদেব নামেও পরিচিত। এর পাশাপাশি এই মন্দিরটিকে বেশিরভাগ মানুষ বিজলী মহাদেবের মন্দির নামেই চেনেন। এই মন্দিরটি কুল্লু থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, আগে এখানে কুলান্ত নামে এক অসুর বাস করত। রাক্ষস বিয়াস নদীর প্রবাহ বন্ধ করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল, যার ফলে বন্যা হয়েছিল। এর পরেই ভগবান শিব অসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। এরপর ভোলানাথ শিব ওই রাক্ষসকে বধ করেন।
এমতাবস্থায় এই পর্বতটি বিশাল আকার ধারণ করে এবং এর নাম হয় কুল্লু। কিন্তু প্রতি ১২ বছরে একবার এখানে বজ্রপাত হয়। এর পিছনেও একটা বিশ্বাস আছে। কথিত আছে যে ভগবান শিব ইন্দ্রকে বজ্রপাত করতে বলেছিলেন যাতে মানুষ এবং অর্থের ক্ষতি না হয়। তাই এমতাবস্থায় ভোলেনাথ স্বয়ং তার ভক্তদের সেই প্রচন্ড বজ্রপাতের আঘাত সহ্য করেন।
No comments:
Post a Comment