উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ! এরই মাঝে উদ্ধার বিজেপি কর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ
নিজস্ব প্রতিবেদন, উত্তর দিনাজপুর, ২৭ এপ্রিল : নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ। এরইমধ্যে এখন সেখানে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার। তেত্রিশ বছর বয়সী ওই যুবকের বাড়ি রাধিকাপুরের চাটগাঁ এলাকায়।জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মৃত্যুঞ্জয় বর্মণ। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী দাবী করেছেন, মৃত যুবক বিজেপি কর্মী।
তার অভিযোগ, গতকাল, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে। বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মণের ভাইপো মৃত্যুঞ্জয় এর প্রতিবাদ করলে তাকে গুলি করে। ৩৩ বছর বয়সী মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি চাটগাঁ রাধিকাপুর এলাকায়।
অন্যদিকে, কালিয়াগঞ্জে যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধীদলীয় নেতা পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনেন। "পুলিশ এক রাজবংশী যুবককে নির্মমভাবে খুন করেছে। গত মধ্যরাতে মমতার ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বাড়িতে হানা দিয়েছে। কিন্তু তারা বিষ্ণু বর্মণকে খুঁজে পায়নি। মৃত্যুঞ্জয় বর্মণ নামে ৩৩ বছর বয়সী এক যুবককে পুলিশ নির্মমভাবে খুন করেছে। এটা অত্যাচার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের অন্যতম নিদর্শন।রাজ্য পুড়ছে, আর মমতা ব্যানার্জি সম্রাট নিরোর ভূমিকায় অভিনয় করছেন।মমতা ব্যানার্জী গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে কালিয়াগঞ্জের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন মুহুর্তের মধ্যেই পুলিশ তা অনুসরণ করে। তাদের এই নৃশংস খুনের দায় নিতে হবে," শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করেছেন।
অন্যদিকে, কালিয়াগঞ্জে ১৬ বছরের নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের তোলপাড়। সিবিআই তদন্তের দাবীতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন সিবিআই তদন্তের দাবীতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মৃতার বাবা। মামলা করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার সকালে নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর কালিয়াগঞ্জে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাথমিক ময়নাতদন্ত রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে, জেলা পুলিশ সুপার বলেছেন যে নাবালিকার মৃত্যুর পিছনে বিষক্রিয়া ছিল। কিন্তু পুলিশের দাবী মানতে চাননি নিহতের স্বজনরা। কালিয়াগঞ্জের ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবীতে সোমবার হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এ অনুমতি দেন। নিহতের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ারও আবেদন জানানো হয়। মামলাকারী এক কোটি টাকা আর্থিক সহায়তাও দাবী করেন। এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মৃতার বাবা। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি হয়।
No comments:
Post a Comment