ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে সহিংসতার পর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উত্তেজনা রয়েছে। সহিংসতা কবলিত এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে জামশেদপুরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে যা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা ক্যাম্প করছেন।
এসএসপি প্রভাত কুমার বলেন, "আমরা গতকাল রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে, সহিংসতা প্রভাবিত এলাকায় ১৪৪ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে।" সোমবার সন্ধ্যায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে বলে জানান তিনি। এর পরই ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আহত এসএসপি সহ অর্ধ ডজন পুলিশ বলেছেন যে সহিংসতায় এখনও কোনও বেসামরিক লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসনের আধিকারিক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করি।
রবিবার রাতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়
উল্লেখ্য, রবিবার গভীর রাতে জামশেদপুরের শাস্ত্রী নগর এলাকায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রচুর পাথর ছোড়া হয়েছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ শুরু করে। হট্টগোলের মধ্যে ভিড়ের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন যুবক গুলি চালায়। পুলিশ তাদের শনাক্ত করতে তৎপর রয়েছে। বলা হয়, পুলিশের গোয়েন্দা ব্যবস্থা সময়মতো বিপদ অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে, যার কারণে ব্যাপক হারে সহিংসতা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ধর্মীয় পতাকায় মাংস বেঁধে দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। রবিবারও পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে দিনের উত্তেজনা কমাতে শান্তি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রীতির বার্তা দিতে অসামান্য ইফতারেরও আয়োজন করা হয়। এসময় এক পক্ষ মিছিল আকারে ঘটনাস্থলের দিকে গেলে অপর পক্ষ থেকে ছাদ থেকে পাথর ছোড়া হয়। ছুড়ে দেওয়া হয় খালি কাঁচের বোতল।
পাথর নিক্ষেপের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ বাতাসে গুলি ছুঁড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা অনেক বাড়ি ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ এ পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। অন্য অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হচ্ছে। সহিংসতায় অনেক পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। আহত হন এসএসপিও।
No comments:
Post a Comment