আতিক আহমেদ ও আশরাফ আহমেদ খুন মামলা পৌঁছল সুপ্রিম কোর্টে। শনিবার রাতে পুলিশ হেফাজতে খুন হন মাফিয়া ব্রাদার্স। তিনজন হামলাকারী তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে এবং একের পর এক ১৮ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এই হত্যাকাণ্ডে সবাই হতবাক। এখন আতিক ব্রাদার্স হত্যাকাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দুই ভাইয়ের খুন ও আসাদের এনকাউন্টার তদন্তের দাবীতে ইতিমধ্যে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।
কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীতে সাধারণত বিপুল সংখ্যক মানুষের স্বাক্ষর নিয়ে চিঠির আবেদন করা হয়। দাখিল করা আবেদনে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। হত্যাকাণ্ডের সিবিআই তদন্তের দাবী জানানো হয়েছে আদালতের কাছে। অধিকার সেনার জাতীয় সভাপতি অমিতাভ ঠাকুর সুপ্রিম কোর্টে একটি চিঠি লিখেছেন এবং বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে চিঠিটিকে একটি আবেদন হিসাবে গ্রহণ করার আবেদন করেছেন। তিনি একজন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। তিনি আদালতের কাছে যথাযথ নির্দেশ জারি করার দাবী জানান।
সুপ্রিম কোর্টে লেখা চিঠিতে অধিকার সেনা বলেছে, খুনের পিছনে নিশ্চয়ই কোনও কারণ আছে। পরিস্থিতি খুবই গুরুতর। এতে মনে হয় বড় কোনও ব্যক্তিত্বের হাত আছে। আবেদনে বলা হয়েছে, এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে, যেখানে বড় পদে বসে থাকা ব্যক্তিদের নির্দেশে এটি কার্যকর করা যেতে পারে। এই ধরনের সম্ভাবনা বেশ বিপজ্জনক। এই সত্য উত্তরপ্রদেশ পুলিশ কখনওই বের করতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এই মামলার তদন্ত সিবিআই করা উচিৎ।
আতিক-আশরাফ খুন মামলায় পরিবারের অভিযোগ ছাড়াই পুলিশ এফআইআর করেছে বলেও আবেদনে প্রশ্ন করা হয়েছে। এফআইআর-এর গল্পটা একটা ছবির স্ক্রিপ্টের মতো। অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতেও নেওয়া হয়নি। মাত্র একদিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্তদের
সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
আতিক ও আশরাফ আহমেদ খুন মামলায় সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে। পিআইএলেও আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে বিষয়টি তদন্ত করার দাবী জানানো হয়েছে। অ্যাডভোকেট বিশাল তিওয়ারির দায়ের করা পিটিশনে, শুধু আতিক-আশরাফই নয়, ২০১৭ সাল থেকে যোগিকালে ১৮৩টি এনকাউন্টারেরও তদন্তের দাবী করা হয়েছে। আদালতের কাছে দাবী করা হয়েছে, এ বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে হবে, এই কমিটির তদন্ত সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নিজেই পর্যবেক্ষণ করবেন।
No comments:
Post a Comment