বাঁকুড়া: বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শোধরানোর হুঁশিয়ারি বিজেপির, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের ঘটনা বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে। ঐ এলাকার বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদ্রা বুথ বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ বাউরিকে কুড়ুল, রড, লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে শ্যামাপদ বাউরি নামে বিজেপির ওই বুথ সভাপতিকে কুড়ুল দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপ মারার পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপক মারধোর ও বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
গুরুতর আহত বিজেপির আদ্রা বুথ সভাপতিকে সোনামুখি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানা গেছে।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সোনামুখির বিজেপি বিধায়ক দীবাকর ঘরামি বলেন, 'বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান তাপস বারির নেতৃত্বে ১০-১২ জন দুষ্কৃতী শ্যামাপদ বাউরিকে মারধর করেছে। ঐ ঘটনা দেখলে শিউরে উঠতে হয়।'
এরপরই তিনি বহুলচর্চিত বগটুই হত্যাকাণ্ড ও লালন শেখের মৃত্যুর উদাহরণ টেনে বলেন, 'পাত্রসায়র এলাকায় যারা এই ধরণের দুষ্কর্ম করছে তাদের পরিবারের লোকেরা এদের শোধরানোর ব্যবস্থা করুন।' আর তা না করলে 'লালন শেখের পরিবারের লোকেদের মতো কান্নাকাটি করতে হবে' বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অপরদিকে, এই ঘটনার সঙ্গে দল কোনও রকম ভাবেই যুক্ত নয় বলে দাবী তৃণমূলের। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত দত্তর কথায়, 'এটা গ্রাম্য বিবাদ, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। বিজেপি মিথ্যা প্রচার করছে।'
দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। আর তার আগেই রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
No comments:
Post a Comment