পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা, মৃত ৩ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 7 April 2023

পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা, মৃত ৩


কোচবিহার: পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ তিন যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় পঞ্চায়েত সদস্য, তার স্বামী ও এক মেয়ের মৃত্যু। ঘটনাটি ঘটেছে, কোচবিহার জেলার দিনহাটার শীতলকুচি ব্লকের হাসপাতাল পাড়া এলাকায়। আহত আরেক মেয়ে বর্তমানে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রেম ঘটিত কারণেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। উল্লেখ্য, মৃত নিলীমা বর্মন শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। তাঁর স্বামী বিমল কুমার বর্মন তৃণমূলের এসসি-এসটি সেলের ব্লক প্রেসিডেন্ট।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোর ৪.৪০ নাগাদ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নীলিমা বর্মনের বাড়িতে বিভূতিভূষণ বর্মন নামে এক যুবক সহ আরও দুজন হামলা চালায় ছুরি নিয়ে। গুরুতর আহত হয় পঞ্চায়েত সদস্য নীলিমা বর্মন স্বামী সহ দুই মেয়ে। আহতদের প্রথমে মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে মৃত্যু হয় নীলিমা বর্মন ও তার স্বামী বিমল কুমার বর্মনের। আহত দুই মেয়েকে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। সেখানে আরেক মেয়েকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত আরেক মেয়ে ইতি বর্মন বর্তমানে আশঙ্কাজানের অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। 


এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে শীতলকুচি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীর সহ মাথাভাঙ্গা মহকুমা অ্যাডিশনাল এসপি অমিত ভার্মা। ঘটনার পরে অভিযুক্তদের ধরে ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা। 

 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত বিভূতিভূষণ বর্মন নামে ওই যুবককে স্থানীয়রা মারধর করায় তাকে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য। দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। 


পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত বিভূতিভূষণ বর্মনের সঙ্গে এই বাড়ির মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এসপি অমিত ভার্মা বলেন, সঠিক কি হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে একটা প্রেমঘটিত ব্যাপার ছিল। বাকিটা তদন্তের পরেই জানা যাবে। 


মৃত পঞ্চায়েত সদস্যর বড় জামাই অনুপ চন্দ্র রায় বলেন, 'কি কারণে এই ঘটনা ঘটল কিছুই জানি না। আমি এসেই সকলকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটেছি। প্রথমে মাথাভাঙ্গা এবং পরে রেফার করায় সেখান থেকে কোচবিহার এখানে এসে এক বুনুও চলেই গেল।' তিনি জানান, তাঁর শ্বশুর বিমল কুমার বর্মন ও শাশুড়ি নীলিমা বর্মন অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন, তাদের কোনও শত্রু ছিল না। কেন এমন হল, কিছুই বুঝতে পারছেন না তিনি। 


অপরদিকে, আহত তথা অভিযুক্ত বিভূতিভূষণ জানায়, এই বাড়ির ছোট মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং প্রেমের কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।


এদিকে এই নৃশংস ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারাও সরব হয়েছেন। অপরাধীদের শাস্তির দাবী করছেন তারা।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad