মুকুল রায়ের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় অপহরণের মামলা দায়ের! বিজেপি নেতাকে জেরা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 18 April 2023

মুকুল রায়ের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় অপহরণের মামলা দায়ের! বিজেপি নেতাকে জেরা



তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা বিধায়ক মুকুল রায় দিল্লীতে যাওয়ার পরে এবং তার ছেলে শুভ্রাংশু রায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করার পরে, পুলিশ একটি অপহরণের মামলা শুরু করেছে এবং এই ক্ষেত্রে পুলিশ একটি এফআইআরও নথিভুক্ত করেছে।  পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তিন থেকে চারজনকে শনাক্ত করেছে এবং বিজেপি নেতা পীযূষ কানোদিয়াকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।  বাকিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।  পুলিশের একটি দল দিল্লী গেছে, যারা মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা বলবে।



 বিমানবন্দর থানায় পৌঁছানোর পরে, পীযূষ কানোদিয়া স্বীকার করেছেন যে পুলিশ তাকে ডেকেছিল, তবে তিনি বলেন যে পুলিশ তাকে কেন ডেকেছিল তা তিনি জানেন না।  তিনি এত বড় মানুষ নন।


 

শুভ্রাংশু রায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, যেখানে তিনি লিখিত অভিযোগে কোনও ব্যক্তিগত নাম উল্লেখ করেননি, যদিও তিনি আলাদাভাবে পুলিশকে জানিয়েছেন।  একই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।  এদিকে শুভ্রাংশু রায় তার বাবার নয়াদিল্লীতে গোপন সফরের পেছনে টাকার খেলা বলে অভিযোগ করেছেন।



শুভ্রাংশু রায় বলেছেন, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে বদনাম করতে বাবাকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করা হচ্ছে।  তাদের বদনাম করার জন্য এই খেলা চালানো হচ্ছে।  তার বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ এবং তাকে রাজনীতিতে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।


 

 সোমবার সন্ধ্যায় কৃষ্ণ নগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান।  বেশ কিছুক্ষণ কলকাতা বিমানবন্দরে দেখা গেছে তাকে।  এরপর তাকে দেখা যায় নয়াদিল্লীতে।  এরপরই তার বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা জোরদার হয়েছে।  শুভ্রাংশু রায় তার বাবার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে বলেন, “আমি বিমানবন্দর ও থানায় চিঠি দিয়েছি।  আমাকে না জানিয়ে দুইজন আমার বাবাকে তুলে নিয়ে যায়।  আমি থানার আইসি এবং বিমানবন্দরের ম্যানেজারকে আমার বাবাকে বিমান থেকে নামানোর জন্য বলেছিলাম, কিন্তু তা হয়নি।"


 

 এদিকে মুকুল রায়ের নিখোঁজ ও দিল্লী যাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে।  প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, তিনি শীঘ্রই বিজেপিতে যোগ দেবেন, যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিজেপির তরফ থেকে কোনও নিশ্চিত করা হয়নি, তবে এটি নিয়ে রাজনৈতিক শব্দবাজি তীব্র হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad