শিশুদের মধ্যে এসব লক্ষণ দেখলেই সাবধান!
প্রেসকার্ড নিউজ হেলথ ডেস্ক, ২০ এপ্রিল: শিশুরা খুবই উদ্যমী হয়। সারাদিন লেখাপড়া ও খেলার পরও তারা দ্রুত ক্লান্তি অনুভব করে না। তাদের মধ্যে আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু আপনার সন্তানের যদি খেলাধুলায় আগ্রহ না থাকে বা সারাদিন চুপচাপ বসে থাকে, অথবা কিছু করার সময় সে দ্রুত ক্লান্ত হতে শুরু করে, তবে বুঝে নিতে হবে কোথাও কিছু সমস্যা তার হচ্ছে। অনেক সময় দুর্বলতার কারণে শিশুরা এমন আচরণ করে। শিশুদের পেশী দুর্বল হলে তারা খেলাধুলা বা কোনও ধরনের কাজকর্মে আগ্রহী হয় না। আপনার শিশুও শারীরিকভাবে দুর্বল কি না, শিশুদের মধ্যে দেখা এই ৫টি লক্ষণ থেকে জানা যাবে। যেমন -
মাথাব্যথা- ক্লান্তি
কিছু কাজ করার পরই যদি আপনার শিশু বলতে শুরু করে যে সে ক্লান্ত বোধ করছে, তাহলে বুঝবেন সে ভেতর থেকে ভালো নেই। অনেক সময় এমনও হয় যখন খেলার সময় শিশুর হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় এবং তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং সেইসঙ্গে মাথা যন্ত্রনা হয়।
পায়ে ব্যথা, হাঁটতে সমস্যা
সঠিক খাবারের অভাবে শিশুদের মধ্যে দুর্বলতা দেখা দেয়। তার পা দুর্বল হয়ে যায়। তখন প্রায়ই পায়ে ব্যথা হয় এবং দাঁড়ানো, দৌড়াতে ও লাফ দিতে সমস্যা হয়। এটি ক্যালসিয়ামের অভাবের কারণে হতে পারে।
জ্বর
আপনার শিশুর যদি ঘন ঘন জ্বর হয়, তার মানে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এবং সে শারীরিকভাবে দুর্বল।
হাতে ব্যথা
অনেক সময় শিশুরা তাদের বাবা-মায়ের কাছে অভিযোগ করে যে তাদের হাতে ব্যথা হয়। যখনই তারা কিছু লেখে, খাবার খায়, খেলতে বা ব্যাগ বহন করে, তখনই তারা তাদের হাতে ব্যথা অনুভব করে। এমনটা হলে বুঝতে হবে শিশুরা শারীরিকভাবে দুর্বল।
মুখের শুষ্কতা
যদি আপনার শিশু দুর্বল হয়, তাহলে তার মুখ শুকিয়ে যেতে শুরু করে, ঠোঁট ফাটতে শুরু করে এবং চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে শুরু করে। তাদের মুখে ফুসকুড়িও হতে পারে। এ কারণে কথা বলতে, গিলতে ও চোষাতেও সমস্যা হয়।
শিশুদের মধ্যে দুর্বলতা কেন আসে?
একটি শিশুর দুর্বলতার অনেক কারণে হতে পারে। পুষ্টির অভাবে শিশুরা দুর্বল হয়ে পড়ে,ষ। এছাড়াও মাংসপেশির দুর্বলতা, পোলিও, তীব্র ফ্ল্যাসিড মাইলাইটিস-সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয় শিশুরা। তারা কোনও কাজে আগ্রহ বোধ করে না এবং তাদের বিকাশ ধীর হয়ে যায়। এ কারণে শিশুর উচ্চতা বাড়ে না এবং অনেকের ওজনও কম থাকে।
কীভাবে শিশুদের দুর্বলতা থেকে রক্ষা করবেন?
শিশুদের মধ্যে দুর্বলতার লক্ষণ দেখলে প্রথমে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
এছাড়াও তাকে পুষ্টিকর খাবার দিন; প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জিনিস দিন।
শিশুকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখার চেষ্টা করুন।
শিশুরা যখন তাদের শারীরিক সমস্যার কথা বলে, তখন সেগুলোকে অজুহাত মনে করবেন না এবং উপেক্ষা করবেন না।
No comments:
Post a Comment