কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেভাবে সরকার পতনের কথা বলেছেন এটা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী। তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য দেওয়ার অধিকার নেই।" তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছেন। তিনি বলেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে একটি চিঠি এসেছে, যাতে অবৈধভাবে বসবাসকারী লোকদের সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আবারও এনআরসি-র নামে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন যে রাজ্য সরকার এনআরসি এবং সিএএ আইন মানবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে ১৪ এপ্রিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকের জন্য বাংলায় এসেছিলেন। যে কোনও সময় সংবিধানের দায়িত্ব পালন করে সংবিধান রক্ষা করলে ৩৫টি আসন পেয়ে বাংলার সরকারের পতন হবে তা বলা যাবে না। সে ষড়যন্ত্র করেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "উত্তরপ্রদেশে যা হচ্ছে। এমনকি বিচার বিভাগীয় হেফাজতেও তাদের খুন করা হচ্ছে, যাকে খুশি মারুন।সকলের বিরুদ্ধে ইডি এবং সিবিআই লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বোমা ফেটে গেলেও NIA পাঠানো হয় না।" তিনি বলেন যে "শুধু আমার উপর নয়, তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সাথেও তাই করেছেন। যা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে।" তিনি বলেন, "কার নির্দেশে হাঁটছেন অমিত শাহ। সে নিজেও ডাকাত। যদি কোনও প্রবেশপত্রও পাওয়া যায়, তাহলে তা পরীক্ষা করা হয়।"
তিনি বলেন, বাংলায় একটি বড় দল পাঠানো হয়েছে। আবার এনআরসি কার্ডের আগুন খেলা। তিনি ২০১৪ সালে এনআরসি-র নামে আগুন নিয়ে খেলছেন। একটা চিঠি এসেছে। এছাড়াও, যদি কোনও আধার কার্ড না থাকে তবে চেক করুন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আন্ডার সেক্রেটারি একটি চিঠি লিখেছেন, যাতে বলা হয়েছে যাদের বেআইনি আধার কার্ড আছে তাদের তালিকা পাঠাতে হবে। তিনি জানান, বারাসত, হাবড়া, অশোকনগর, দত্তপুকুর, হাসনাবাদ, নাজাত, সন্দেশখালি, নৈহাটি, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, আলিপুর ও বারুইপুর এলাকা থেকে তালিকা চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে এটা সাম্প্রদায়িকতার আগুন নেভাতে পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
No comments:
Post a Comment