প্রচণ্ড গরমে ঝলসে যাচ্ছে কচি চা-পাতা, কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি চাষিরা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 18 April 2023

প্রচণ্ড গরমে ঝলসে যাচ্ছে কচি চা-পাতা, কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি চাষিরা


জলপাইগুড়ি: তীব্র দাবদহে পুড়ছে বাংলা। দক্ষিণ থেকে উত্তরে সর্বত্রই প্রখর গরমে নাজেহাল জনজীবন। বৃষ্টির দেখা না মেলায় বাড়ছে তাপমাত্রা। এর এতেই ক্ষতির মুখে উত্তরবঙ্গের চা-চাষ। 


আবহাওয়ার খামখেয়ালি‌পনা, প্রখর রোদের তীব্র দাবদাহে রীতিমতো ঝলসে যাচ্ছে বাগানের কাঁচা চা-পাতা। এর ফলে ব‍্যাপক প্রভাব পড়ছে উত্তরবঙ্গের চা-শিল্পে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জলপাইগুড়ি জেলার অসংখ্য ক্ষুদ্র চা-চাষিরা। এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই সাধারণত চা-চাষের ক্ষেত্রে অনুকূল ও গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়েই মূলত সেকেন্ড ফ্লাশ চা-পাতা উৎপাদন হয়। এই সময়ের উৎপাদিত পাতা সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি করার সুযোগ পান চা-চাষিরা। সারা বছরের মোট উৎপাদনের প্রায় ৮-১০ শতাংশ চা-পাতা উৎপাদন হয় মে মাসের মধ্যে। 


তবে, বর্তমানের শুষ্ক আবহাওয়া ও সূর্যের প্রখর তাপে নতুন পাতা গজানোর ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা-চাষি সংগঠনের সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতি‌তে চা-গাছকে রক্ষা করাই আমাদের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।' 


তিনি আরও বলেন, 'প্রখর রোদের তাপে একদিকে যেমন চা-পাতা ঝলসে যাচ্ছে, পাশাপাশি রেড স্পাইডার, থ্রিভেস ও গ্রিন ফ্লাই নামক শোষক পোকা চা-গাছের নরম পাতাগুলোকে নষ্ট করে দিচ্ছে। কৃত্রিমভাবে জলসেচ ও মূল্যবান কীটনাশক ব্যবহার করেও পোকা দমন করা যাচ্ছে না।'


কাঁচা চা-পাতার অভাবে উত্তরবঙ্গের ৯০ শতাংশ বটলিফ চা-ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে রয়েছে বলে জানান তিনি। এই কঠিন পরিস্থিতিতে খুব শীঘ্রই বৃষ্টি না হলে প্রথম ফ্ল‍্যাশের মতোই দ্বিতীয় ফ্ল‍্যাশেও চা-পাতা উৎপাদনে ব‍্যাপক ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছেন জলপাইগুড়ি জেলা সহ উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চা-বাগান মালিক‌রা। চা গাছ বাঁচানোই যেন বর্তমানে তাদের কাছে একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad