বাড়ির এই স্থানটিকে ভগবানের দিশা বলে মনে করা হয়

 

 মানুষ প্রতিদিন ঈশ্বর, দেবতা এবং দেবদেবীর পূজা করতে পারে। এ জন্য বাড়িতে মন্দির তৈরি করা হয়। তবে বাড়িতে মন্দির তৈরি করার সময় সঠিক স্থান ও দিক সম্পর্কে জ্ঞান থাকা খুবই জরুরি।

বাড়ির প্রতিটি জিনিসপত্র বাস্তুশাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী রাখতে হবে। সঠিক নিয়ম অনুসারে ঘরে জিনিসপত্র রাখলে পরিবারের সদস্যদের উন্নতি হয় এবং ঘরে সর্বদা সুখ ও আশীর্বাদ থাকে। যাই হোক, সব কিছুর ইতিবাচক ফলাফল তখনই পাওয়া যায় যখন সেগুলোকে সঠিক দিক ও জায়গায় রাখা হয়। মন্দির বাড়ির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। যদি এটি সঠিক পথে তৈরি করা হয়, তবে দেবতারা শীঘ্রই তাদের আশীর্বাদ বর্ষণ করতে শুরু করেন। 

ধনী

বাস্তুতে, পূজার ঘর সম্পর্কে অনেক নিয়ম দেওয়া হয়েছে। বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে উত্তর-পূর্ব দিক বা ঈশান কোণকে ঈশ্বরের দিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বলা হয় এই দিকে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়। এই দিকে স্থাপিত মন্দির ব্যক্তির উন্নতির পথ খুলে দেয়।  পূজার ঘরটি এই দিকে রাখুন। এই দিকে রাখা সম্ভব না হলে বাড়ির উত্তর বা পূর্ব দিকেও করা যেতে পারে। 

ভুল দিক 

বাড়িতে ভগবানের কৃপা বজায় রাখতে এবং মা লক্ষ্মী-কুবের দেবের আশীর্বাদ পেতে বাড়িতে পূজার স্থান সংক্রান্ত কিছু বিষয়ের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। এ জন্য ভুল করেও বেডরুমে, সিঁড়ির নিচে, রান্নাঘরের আশেপাশে বা বাথরুমের আশেপাশে কখনও পূজার ঘর তৈরি করবেন না। সেই সঙ্গে বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কোনও পূজার ঘর তৈরি করবেন না।

ঈশ্বরের স্থান

বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকেই বাড়িতে সরাসরি মাটিতে মন্দির রাখেন। বাস্তুতে একে ভুল বলা হয়। ঈশ্বরের স্থান সর্বোচ্চ। তাই তাদের উপাসনালয় কখনো মাটিতে রাখবেন না। বাস্তু অনুসারে পূজা ঘরের উচ্চতা আপনার হৃদয় এবং ঈশ্বরের পায়ের সমান হওয়া উচিৎ । 

রঙ

আমরা ঘরের জন্যও আমাদের পছন্দের রং বেছে নিই। একইভাবে, মন্দিরের জন্যও বাস্তুতে কিছু শুভ রং উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তুতে, সাদা, হলুদ, হালকা নীল এবং কমলা পূজা বাড়ির জন্য সেরা রং। এতে সাদা রঙের আলোও লাগাতে পারেন।