অপহরণ-অপকর্ম করে দ্বাদশের ছাত্রী খুন! প্রতিবাদ বিক্ষোভে রণক্ষেত্র এলাকা
নিজস্ব প্রতিবেদন, উত্তর দিনাজপুর, ২১ এপ্রিল : দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা এলাকা। স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। টিয়ার গ্যাসের শেল ছাড়া হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে মেয়েটির দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন। মেয়েটি বাড়ি থেকে বের হয়ে ফেরেনি বলে অভিযোগ। এক যুবকের বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কালিয়াগঞ্জ মামলায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা ট্যুইট করেছেন যে বাংলায় আরেক রাজবংশী নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন যে, 'তিনি তার ভাইপোকে রক্ষা করতে ব্যস্ত। এর খেসারত দিতে হচ্ছে রাজ্যের মহিলাদের। রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তার কারণে দুষ্কৃতীরা উৎসাহ পাচ্ছে।'
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে। এরপর পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ, ইটাহার থেকে বাহিনী ডাকা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।
ছাত্রীকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার জেরে পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ সকাল থেকেই রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। মোতায়েন করা হয়েছে RAF। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার এক ছাত্রীর দেহ পাওয়া গেছে। ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এ অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে নিহত মেয়েটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে ছাত্রীর দেহ ফেরত দিলে স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ শুরু করে।
No comments:
Post a Comment