ডায়াবেটিস একটি অত্যন্ত জটিল রোগ, এতে রোগীদের সবসময় রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করতে হয়, তা না হলে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে এবং অনেক রোগের চিকিৎসাও হয় এবং অনেক ধরনের জটিলতা বেড়ে যায়। এ জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং সুষম জীবনযাপন খুবই জরুরি, যার অভাব বর্তমান যুগে প্রায়ই দেখা যায়। যাইহোক, যারা তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন তারা একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন অনুসরণ করতে কোন সমস্যার সম্মুখীন হয় না, কারণ বুদ্ধিমানের সাথে কাজ করে গ্লুকোজের মাত্রা সংশোধন করা যেতে পারে।
রাতের খাবারের পর এই কাজটি করুন
রাতের খাবার প্রতিদিনের খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এই সময় ডায়াবেটিস রোগীদের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। রাতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়। অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেন যে রাতের খাবারের পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটা উচিৎ । এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। আপনি যদি এই রুটিনটি নিয়মিত অনুসরণ করেন তবে কয়েক দিনের মধ্যে এর প্রভাব দেখা যাবে।
এই জিনিসের যত্ন নিন
খিদে উপেক্ষা করবেন না
প্রায়শই আমরা আমাদের কাজে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি যে আমরা খাবার এড়িয়ে যেতে আপত্তি করি না, কিন্তু খিদে উপেক্ষা করা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি বড় ভুল প্রমাণিত হতে পারে। ডাক্তাররা প্রায়ই এই হাতের পরামর্শ দেন। তাই সামান্য খিদে লাগলেই ফল, ছোলা, সালাদ বা স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খেতে হবে। খিদের জ্বালাকে উপেক্ষা করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরত্ব তৈরি করুন,
তৈলাক্ত এবং মিষ্টি খাবার খাওয়ার প্রবণতা আমাদের দেশে খুব বেশি, যার কারণে উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে এবং তাদের ডায়েটিশিয়ানের কাছ থেকে স্বাস্থ্যকর খাবারের সম্পূর্ণ তালিকা জেনে নিতে হবে, তবেই ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment