বাঁশির নাম শুনলেই মানুষের মনে শ্রীকৃষ্ণের ছবি ভেসে ওঠে। বাঁশির সাথে শ্রীকৃষ্ণের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বাস্তুশাস্ত্রে বাঁশির বিশেষ গুরুত্ব বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, একে দেবতাদের প্রিয় যন্ত্র হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। এই কারণে এটি অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। বাস্তুশাস্ত্রে বাঁশি সংক্রান্ত এমন কিছু বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, যা ঘরের সবচেয়ে বড় বাস্তুর ত্রুটিকেও নিমিষেই শুধরে দিতে পারে।
শাস্ত্রেও বাঁশ গাছকে পবিত্র বলে মনে করা হয়েছে এবং তা থেকে বাঁশি তৈরি করা হয়। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরে নিয়মিত বাঁশি ব্যবহার করে আপনি ঘরের নেতিবাচক শক্তি দূর করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাঁশির এমনই কিছু প্রতিকার সম্পর্কে।
বাঁশির প্রতিকার আপনার ভাগ্য উজ্জ্বল করবে
- জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, আপনি যদি চাকরি নিয়ে বিরক্ত হন বা অফিসে সহকর্মীদের দ্বারা বিরক্ত হন তবে বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, একজন ব্যক্তির বাড়িতে এবং কর্মক্ষেত্রে একটি করে বাঁশি রাখা উচিৎ । এটা করলে তার ক্যারিয়ারের সব সমস্যা দূর হবে। এবং জীবনে সুখ ফিরে আসবে।
কখনও কখনও একজন ব্যক্তির পরিশ্রমের ফলও হতাশা বলে মনে হয়। তিনি সাফল্যের জন্য আকুল। এমতাবস্থায় কৃষ্ণ মন্দির থেকে আনা বাঁশি যদি কারো দোকানে, অফিসে বা বাড়িতে রাখা হয়, তাহলে ব্যক্তি অবশ্যই সফলতা পায়। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন ব্যক্তির বন্ধ ব্যবসাও এর কারণে চলতে শুরু করে।
- স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে ঝামেলা থাকলে। যদি পরকীয়া হয়, তবে বাঁশির প্রতিকার আপনার মধ্যে দূরত্ব কমাতে পারে। বাস্তু অনুসারে, বিবাহিত দম্পতির বেডরুমের সিলিংয়ে একটি বাঁশি ঝুলানো উচিৎ । এই প্রতিকার করলে দুজনের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠবে এবং প্রেম বাড়বে।
প্রসঙ্গত, বলা হয় ঘরে বাঁশি রাখা ভালো নয়। কিন্তু বাঁশি বাজানো শুভ বলে মনে করা হয়। সূর্যাস্তের সময় সকাল-সন্ধ্যা ৫-১০ মিনিট নিয়মিত সুরেলা বাঁশি বাজালে ঘরে সমৃদ্ধি আসে। শুধু তাই নয়, পারস্পরিক ভালবাসা বৃদ্ধি পায় এবং বাড়িতে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শান্তি আসে।
মাঝে মাঝে কিছু মানুষ খুব বেশি চিন্তা করে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই ধরনের ব্যক্তিদের তাদের পকেটে রূপার তৈরি একটি ছোট বাঁশি রাখা উচিৎ । বাঁশিটি এমনভাবে পকেটে রাখুন যাতে ভেঙ্গে বা বাঁকা না হয়। অন্যথায় এটি শুভ ফলাফলের পরিবর্তে অশুভ ফল দেবে।
No comments:
Post a Comment