গোপনাঙ্গে একাধিক সেফটিপিন, ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার পচা গলা মৃতদেহ। বিকৃত যৌন লালসা কারণেই কি খুন ব্যক্তি, বাড়ছে রহস্য। ঘটনা নদীয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া মাঠপাড়া এলাকার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফুলিয়া মাঠপাড়া এলাকার বাসিন্দা মলয় বসাক, বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। পেশায় টোটো চালক তিনি। ফুলিয়ার নিমতলার শিপ্রা বসাকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। মলয় বসাক এবং তার স্ত্রী ও ছেলে ছাড়া আর কেউ থাকতো না। মলয় বসাকের মা, কৃষ্ণনগর তার মেয়ের বাড়িতেই থাকতেন। বেশ কয়েক দিন ধরে মলয়ের স্ত্রী ও তার ছেলে নিমতলা পাড়া এলাকায় তার বাবার বাড়িতে এসে থাকতেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ তার ছেলে নিজের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে তার বাবাকে ডাক দিলেও দীর্ঘক্ষণ কোনও সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় ছেলে ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখে বাবা মেঝেতে পড়ে রয়েছে, সেই সঙ্গে পচা দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। তৎক্ষণাৎ সে ছুটে চলে আসে তার মার কাছে এসে পুরো বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন তার স্বামী মলয় বসাকের মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। এরপর চিৎকার চেঁচামেচি করলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে মেয়ের পরিবারের আত্মীয়রাও ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পাশাপাশি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
মৃতদেহ উদ্ধারের সময় মৃত মলয় বসাকের যৌনাঙ্গে দেখা যায় একাধিক সেফটিপিন লাগানো রয়েছে। সেই কারণেই প্রাথমিক অনুমান ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মৃত মলয় বসাকের স্ত্রী শিপ্রা বসাক বলেন, 'আমার ছেলে গিয়ে খবর দেওয়াতেই আমি তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। কিন্তু আমার স্বামীর ওই দৃশ্য দেখে আমি ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে বাইরে চলে আসি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমার স্বামীর বিকৃত যৌন লালসা ছিলেন। প্রায়শই মোবাইল থেকে পর্ন ভিডিও ডাউনলোড করত এবং মাঝেমধ্যেই ওই ভিডিওগুলো দেখতেন। এই বিষয়টি নিয়ে আমার ওর সঙ্গে দীর্ঘদিন অশান্তি চলত। তবে, আমি যখন থাকতাম তখন দেখত না তার কারণ আমি ওই ভিডিওগুলো দেখতে দিতাম না।'
মৃত্যুর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ওর ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা ছিল না, কোথা থেকে টাকা-পয়সা ধারও নেননি। কেন এমন ঘটনা ঘটল বুঝে উঠতে পারছি না। তবে, খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি।
অন্যদিকে, শান্তিপুর থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই পুলিশের কাছে অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে, ওই ব্যক্তি আদতে কীভাবে মারা গেলেন।
No comments:
Post a Comment