গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখবে যে ভিটামিন এবং মিনারেলসগুলি

গর্ভাবস্থা প্রতিটি মহিলার জন্য একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে এবং এই সময়ে তাদের খাদ্যেরও বিশেষ যত্ন নিতে হয়।  প্রতিটি গর্ভবতী মহিলার মনে একটি জিনিস সর্বদা ঘুরপাক খায়, তা হল  কিভাবে অনাগত সন্তানকে সুস্থ রাখা যায় এবং একটি সুস্থ জীবন দিয়ে এই পৃথিবীতে আনা যায়। ডাঃ মীনাল সিং, এক্সিকিউটিভ কনসালটেন্ট, নিওনাটোলজি এবং পেডিয়াট্রিক্স বিভাগ, জেপি হাসপাতাল, গর্ভাবস্থায় গ্রহণ করা কিছু প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলস সম্পর্কে বলেছেন, যা মা এবং তার শিশুকে সুস্থ রাখতে  কাজ করে। আসুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় গ্রহণ করা প্রয়োজনীয় কিছু ভিটামিন ও মিনারেল সম্পর্কে।

গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলস -

ক্যালসিয়াম -

দুগ্ধজাত দ্রব্য, মাছের হাড়, টফু, সবুজ শাক, মটরশুঁটি,বিনস, মসুর ডাল, পোস্ত বীজ, চিয়া, তিলের বীজ এবং বাদামে পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁত মজবুত করে। শিশুদেরও সঠিক বিকাশের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের মতো একই পরিমাণ ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।

আয়রন -

মাংস, কলিজা, মুরগির মাংস, সামুদ্রিক খাবার, মটরশুঁটি, বিনস, টফু, ডিমের কুসুম, শুকনো ফল, গুড়, পালং শাক, ওটস এবং গোটা শস্যের রুটিতে আয়রন পাওয়া যায়। শরীর গাছপালা থেকে আসা আয়রনের (নন-হিম) তুলনায় মাংসের আয়রন (হিম) বেশি দ্রুত শোষণ করে। ভিটামিন সি নন-হিম আয়রন শোষণ করে। আয়রন মস্তিষ্ক এবং শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এটি শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

জিঙ্ক বা দস্তা -

এই খনিজটি মাংস, মুরগির মাংস, সামুদ্রিক খাবার, দুগ্ধজাত খাবার, বীজ, ডিম, ছোলা, ডাল, টফু এবং গোটা শস্যে পাওয়া যায়। এটি ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালীকরণ, বৃদ্ধি এবং ক্ষত নিরাময়ের জন্য প্রয়োজনীয়।

ম্যাগনেসিয়াম -

ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় শাক-সবজি যেমন কেল, ব্রকলি, পালং শাক, মটর শাক, বাঁধাকপি, অ্যাসপারাগাস, সবুজ মটরশুঁটি, ডুমুর, অ্যাভোকাডো, কলা, বাদাম, বীজ, লেবু এবং সামুদ্রিক খাবারে। শিশুদের বিকাশের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি পেশী এবং স্নায়ুর কার্যকারিতার জন্য, হার্টের ছন্দ বজায় রাখতে, স্বাস্থ্যকর ইমিউন সিস্টেম বজায় রাখতে এবং হাড়কে শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে।

ভিটামিন- এ -

ভিটামিন এ লিভার, মাংস, দুধ, ডিম, গাজর, স্কোয়াশ, আখরোট, আম এবং মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যকর দৃষ্টিশক্তি, ত্বক, বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য ভিটামিন- এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।