আইআইটি ছাত্রের মৃত্যু মামলায় চাঞ্চল্যকর প্রকাশ! ফের পোস্টমর্টেমের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৫ এপ্রিল, কলকাতা : আইআইটি খড়গপুরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়জান আহমেদের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্ট-নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি একটি বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা দিয়েছে। অজয় গুপ্তের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ছাত্রের মাথার পিছনে প্রচণ্ড আঘাত করা হয়েছিল। পুলিশের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তার কোনও উল্লেখ ছিল না। বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টের পর ফের মৃত ছাত্রের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, ১৪ অক্টোবর, আইআইটি খড়গপুরের লালা লাজপত রায় হলের একটি কক্ষ থেকে ফয়জান আহমেদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। পুলিশ রিপোর্টে একে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হলেও নিহতের বাবা পুলিশের রিপোর্টে আপত্তি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন এবং সিবিআই তদন্তের দাবী জানান।
আসামের তিনসুকিয়ার মৃত ছাত্রের বাবার অভিযোগ, র্যাগিংয়ের পর তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। বাবার দায়ের করা মামলার শুনানি শেষে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই কমিটি মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেয়। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিহত ছাত্রের মাথায় পেছন থেকে আঘাত করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাত কেটে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হতে পারে।
অ্যাডভোকেট সন্দীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, “২১ নভেম্বর ২০২২ তারিখের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের রিপোর্ট অনুসারে, IO কিছু মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। এমপ্লারার মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এটি মাংস পচন রোধ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি বিষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একটি নীল ব্যাগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে হলুদ তরল ছিল।"
তিনি বলেন, “রিপোর্টে তিনি নতুন করে ময়নাতদন্তের সুপারিশ করেছেন। মৃত্যু কিভাবে হতে পারে? ময়নাতদন্ত রিপোর্টে এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরবতা রয়েছে। এটা হওয়া উচিৎ নয়। হেমাটোমা খালি চোখে দেখা গেলেও চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে এর কোনও উল্লেখ নেই। ব্যক্তিগত ব্যক্তির ময়নাতদন্তে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার।"
কলকাতা হাইকোর্টে শুনানির সময় বিচারক মৃত ছাত্র ফয়জান আহমেদের মরদেহ দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তদন্তকারী আধিকারিককে আবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কলকাতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের সময় ডঃ গুপ্তা এবং প্রাক্তন পিএম ডাক্তার উপস্থিত থাকবেন। ময়নাতদন্ত হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, কলেজ স্ট্রিটে। এই ব্যবস্থা করার দায়িত্ব রাজ্যের। এটি এক মাসের মধ্যে করা হবে। পরবর্তী শুনানি হবে ৩০ জুন।
No comments:
Post a Comment