ভরা বাজারে দিনের আলোয় এলোপাথাড়ি গুলি, খুন তৃণমূল নেতা। সাত সকালে হাড়হিম এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালি থানার রামনগর বড় চুপড়িয়াতে। মৃত বড় চুপড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চলের সহ-সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা আমোদ আলী বিশ্বাস, বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে বাজার করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সহ-সভাপতি। বাজার করতে বেরিয়ে একটি স্থানীয় চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় ৭ থেকে ৮ জনের এক দুষ্কৃতী-দল মোটরসাইকেল করে এসে আমোদ আলী বিশ্বাসকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। চায়ের দোকান থেকে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুটা দূরে দৌড়ে যেতেই তাকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা, লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
তৃণমূল নেতাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবী, মুখ ঢাকা অবস্থায় দুষ্কৃতীরা এসেছিল এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই তৃণমূল নেতাকে গুলি করে চম্পট দেয় তারা। সাত সকালে ভরা বাজারে গুলি চালানোর ঘটনায় আতঙ্কে এলাকাবাসীরা।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হাঁসখালি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। কি কারণে গুলি করা হল ইতিমধ্যেই তার তদন্ত শুরু করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ এবং দুষ্কৃতীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। পাশাপাশি কৃষ্ণনগরে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে তৃণমূল নেতার নিথর দেহ।
ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন সংবাদ মাধ্যমে বলেন, 'যারাই এই ঘটনা ঘটাক, কেউ পার পাবে না। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছে বিরোধীরা নিয়ে আসছে ভাড়াটে খুনি। বিরোধীরা বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। যারা এই চেষ্টা করবে, তাদের মানুষ ছুঁড়ে ফেলবে।'
অপরদিকে, সংবাদমাধ্যমে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট এসে যাওয়ায় একে অপরের এলাকা দখলে নেমেছে। এই রাজ্যে পুলিশ প্রশাসন বলে কিছু নেই। সাধারণ মানুষের অবস্থা দুর্বিষহ।'
কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, 'রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে।'
No comments:
Post a Comment