মাথা ন্যাড়া রাখার শপথ তৃণমূল বিধায়কের! কিন্তু কেন? - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 26 April 2023

মাথা ন্যাড়া রাখার শপথ তৃণমূল বিধায়কের! কিন্তু কেন?


মাথা ন্যাড়া রাখার শপথ তৃণমূল বিধায়কের! কিন্তু কেন? 



নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৬ এপ্রিল: 'পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজেপি যদি অর্ধেক বুথে প্রার্থী দিতে পারে, তাহলে সারাজীবন মাথা ন্যাড়া রাখব', এমনই শপথ নিলেন তৃণমূল বিধায়ক। 'ক্ষমতা থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করুন', পাল্টা বিজেপি।


মঙ্গলবার হাবড়া দুই নম্বর ব্লকের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়, অশোকনগর ঈশ্বরী গাছা এলাকায়। সেই মঞ্চেই আইএসএফ থেকে প্রায় ২৫০ জন আইএসএফ কর্মী তৃণমূলের যোগদান করে। আইএসএফ কর্মীদের তৃণমূলের যোগদানে পঞ্চায়েত ভোটের আগে শক্তি বৃদ্ধি হল তৃণমূলের, এমনটাই জানালেন হাবড়া দুই নম্বর ব্লকের সভাপতি বৃন্দাবন ঘোষ।


অপরদিকে, এদিন মঞ্চের বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধীদের নিয়ে সুর চড়ান বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তিনি বলেন, "বাংলায় ৬৫-৭০ হাজার সিট, বিজেপির প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা আছে নাকি! বিজেপি যদি প্রত্যেক সিটে প্রার্থী দিতে পারে আমি নারায়ণ গোস্বামী সারাজীবন আর মাথায় চুল রাখব না। যখনই আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে দেখবেন আমার মাথা ন্যাড়া। এমনকি ৭০ হাজারের অর্ধেক প্রার্থী দিতে পারে, আমি জীবনে মাথায় আর চুল রাখব না।"


তিনি বলেন, "আইএসএফের কথা ধরার মধ্যে আসবে না। ৫ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না। সিপিএমের অবস্থাও ওরকম, বিজেপির কাছাকাছি যাবে।" বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "প্রার্থী পাবে না, আবার বলবে পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দাপটে আমরা প্রার্থী দিতে পারিনি বন্ধুগন।" তাঁর কথায়, 'দিতে না পারলে আমাকে ফোন করুনআমি বাড়ি থেকে নিয়ে আসব, বিডিও অফিসে জমা দেব এবং আবার বাড়ি পৌঁছে দেব। '


কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "তোমার এদিকে ভাঁড়ে মা ভবানী, মাল নেই, তোমার এদিকে বুথে লোক নেই, আবার তুমি মাইকে-টেলিভিশনে ভাষণ দেবে যে, তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীর জন্যে আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে পারছেন না। তাই বলছি, যদি কেউ না দিতে পারে আমায় ফোন করবেন, দায়িত্ব আমার। আমি জানি এ ফোন আসবে না, কারণ মাল নেই তো। প্রার্থী নেই, লোক পাবে না।" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের কথাও এদিন শোনা যায় বিধায়কের মুখে। 


এরপর, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "আমি তো জেলা রাজনীতি করি, আমি বুঝে গেছি বলে বা না বলে হোক দলে দলে ভারতীয় জনতা পার্টির লোকজন তৃণমূলে যোগ দিয়েছে‌ স্বেচ্ছায়।" তাঁর মতে পঞ্চায়েত নির্বাচন মানে বাড়ির রান্নাঘরের নির্বাচন। তিনি বলেন, "মানুষ এটা বুঝেছে, এই নির্বাচনে তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প নেই।" 


তিনি বলেন, "টেলিভিশনে কিছু ভাষণ চলতে পারে, তবে বাস্তবে মাটিতে ভারতীয় জনতা পার্টি বা সিপিএম বলুন, আমি উত্তর ২৪ পরগনায় দেখতে পাচ্ছি না। তবে, আমরা চাই অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন। প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে দিয়ে হলে সেই জেতার আনন্দই আলাদা।"


এদিকে বিধায়কের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এক হাত নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, "নারায়ণ বাবু বড় বড় কথা বলছেন, উনার যদি হিম্মত থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করে দেখান। রাজ্য পুলিশকে দলদাসে ও চটিচাটা পুলিশে পরিণত করেছে, আবার বড় বড় কথা বলছেন।"


তার পাল্টা দাবী, "পশ্চিমবঙ্গে যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হয় তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করাক। আর তখন তারা অর্ধেক আসনে প্রার্থী দিতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে।‌" তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আজকে ওদের চোর বলে চিহ্নিত করেছেন। ‌ সুতরাং এই চোরেদের বড় বড় কথা মানায় না। পুলিশ যদি নিরপেক্ষ হবে সেদিন নারায়ণ বাবুরা বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না বলে আমি মনে করি।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad