তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার! চাঞ্চল্য এলাকায়
নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ২৪ পরগনা, ২৪ এপ্রিল: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের এক সক্রিয় কর্মীকে খুনের অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বসিরহাট এলাকার সন্দেশখালি থানার অন্তর্গত কোরাকটী গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীকে কাজে ডেকে খুন করা হলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃতের নাম কৃষ্ণপদ মণ্ডল (২৮)। তিনি পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কৃষ্ণপদ মণ্ডল কোরাকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩০ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং দলের কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সোনারপুর-ভিত্তিক ঠিকাদার প্রণব মণ্ডল তাকে ১৬ এপ্রিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানার রাধাগোবিন্দপুরে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর কৃষ্ণপদ ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। এরপর হঠাৎ ভাড়া বাড়ি থেকে তার রক্তে ভেজা দেহ উদ্ধার করা হয়। সোনারপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
স্বজনদের অভিযোগ, ঘটনার পর থেকে ভাড়া বাড়ির মালিক মৃদুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। পরিবারের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েতের এক সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং পুরো বিষয়টি কী এবং কী ঘটেছে যে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মৃত তৃণমূল কর্মীর স্বজনদের অভিযোগ, কৃষ্ণপদকে কাজ দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করুক। এদিকে পুরো ঘটনার তথ্য পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তদন্তের পরই সঠিক তথ্য জানা যাবে।
কোরাকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মণিকা রায় বলেন, “কৃষ্ণপদ যে বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন সেই বাড়ির মালিক মৃদুল বাবু আমাকে ফোন করে বলেছিলেন যে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলেই চাল বিছিয়ে আছে, তাহলে এটা কীভাবে আত্মহত্যা হতে পারে?"
No comments:
Post a Comment