সন্তানদের নেতিবাচক আচরণ বদলাতে মেনে চলুন এই নিয়ম
পিঙ্কি রায়,১০ মে : প্রত্যেক অভিভাবকের কাছে তাদের সন্তানই সব। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় সন্তান অন্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে বা তার আচরণ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তখন বাবা মার চিন্তা বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক ? সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দিলে তবেই সে ভাল মানুষ হয়ে উঠতে পারবে। আর ভালো মানুষ হওয়ার পেছনে বাবা মারই হাত থাকে বেশী।
তাই এসময় বাবা মাকে বুদ্ধিমানের সঙ্গে কাজ করতে হবে। কারণ শিশুর এই অভ্যাস তাকে কারো সঙ্গে মিশতে দেয় না এবং একা থাকার কারণে তার ভেতরে নেতিবাচকতা ভর করে এবং মানসিক রোগও হতে পারে। তাই সময়মতো তাদের এই অভ্যাস পরিবর্তন করতে সাহায্য করা উচিৎ, অন্যথায় বড় হওয়ার পরেও তাদের আচরণ এমনই থেকে যাবে এবং এটি তাদের জীবনের জন্য ঠিক নয়। সন্তানের এই আচরণ কীভাবে বদলানো যাবে চলুন জেনে নেই-
ভাল ব্যবহার:
সন্তান যখন রাগান্বিত হয়, অন্যের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে, তখন এর সহজ অর্থ হল সন্তানের সঙ্গে তার অভিভাবকদের আচরণ ঠিক নয়। তাই ছোট ছোট ভুলের জন্য বাচ্চাকে তিরস্কার করা উচিৎ নয়। বাবা মার উচিৎ তাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা। এমনকি যদি কোনও কারণে শিশু কোনও ভুল করে, তাহলে তাকে বুঝিয়ে বলুন যে সে যে ভুল করেছে তাতে কী ক্ষতি হতে পারে। এতে তার রাগ শান্ত হবে এবং তার আচরণও ভালো হবে।
শাস্তি দেওয়া :
যদি তার প্রতিটি ভুলের জন্য শাস্তি দেন, তবে এমন কাজ করবে না, কারণ এটি সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়। শাস্তি সন্তানকে সাহসী করে তুলতে পারে। বারবার তাকে শাস্তি দিলে সে ভুল করতে থাকবে। সে তখন বুঝতে পারে না অন্যের সঙ্গে কেমন আচরণ করবে।
হতাশ করা :
বাবা মারা সন্তানের প্রথম চিয়ার লিডার। তাই তাদের উচিৎ সবসময় তাদের সন্তানকে অনুপ্রাণিত করা। অভিভাবকরা নিজেরাই তাদের মনোবল না বাড়ালে কে বাড়াবে? তাই ছোট ছোট বিষয়ে সন্তানের উৎসাহ বাড়ান। তাদের মনোবল কমানো এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি তাদের মনকে হতাশা পূর্ণ করতে পারে।
বাচ্চাকে অপমান করা :
অনেক সময় অভিভাবকরা সন্তানকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য অন্যদের সামনে অপমান করে বসে। এমন করা উচিৎ নয়। কখনো কারও সামনে সন্তানকে অপমান করবেন না। বাড়িতে কেউ এসে থাকলে ভুল করেও সন্তানের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা উচিৎ নয়। কারণ বারবার এই ধরনের অপমান সন্তানকে রাগে ভরে দেয় এবং সে আক্রমণাত্মকও হয়ে উঠতে পারে। এই কারণে, তার নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না এবং সে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে।
No comments:
Post a Comment