মানসিক শান্তি পেতে সন্ন্যাস নেয় এই অভিনেতা
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৫ মে : বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা বিনোদ খান্না তার সময়ের একজন সুপারস্টার । এমনকি এক সময় তিনি অমিতাভ বচ্চনের উজ্জ্বলতাও ম্লান করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ২৭ এপ্রিল পৃথিবীকে বিদায় জানান এই অভিনেতা।
একের পর এক বহু সুপারহিট ছবি দেওয়া বিনোদ খান্নার জীবনে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু মানসিক তৃপ্তি পাচ্ছিলেন না তিনি। বিনোদ খান্না তার মায়ের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাই তার মৃত্যুর পর পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেতা। একটা সময় এমনও আসে যখন সে তার পুরো পরিবার ছেড়ে সন্ন্যাসী হয়ে শান্তির সন্ধানে বেরিয়েছিলেন ।
বিনোদ খান্না তার ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকা কালীন তার মা মারা যান। এই দুঃখ তাকে পুরোপুরি ভেঙে দেয়। বিনোদ খান্না ধীরে ধীরে কাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করেন এবং তারপর পরিবার ছেড়ে সন্ন্যাস হয়ে আমেরিকা চলে যান। অভিনেতা থেকে সন্ন্যাসী হন বিনোদ খান্না। ছোটবেলায় যাঁর প্রেমে পড়েছিলেন বিনোদ খান্না, গীতাঞ্জলিকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাঁদের দুটি সন্তান ছিল, অক্ষয় খান্না এবং রাহুল খান্না। কথিত আছে, গীতাঞ্জলি থেকে বিচ্ছেদের কারণ ছিল বিনোদ খান্নার সন্ন্যাসী হওয়া।
গীতাঞ্জলি বিনোদ খান্নাকে ফিরে আসার জন্য কাঁদতেন। ছোট বাচ্চা দুটোই তাদের সামনে কাঁদত কিন্তু বিনোদ খান্না ফিরতে রাজি ছিলেন না। বিনোদ খান্না সন্ন্যাসী হয়ে টয়লেট পরিষ্কার করার কাজ করতেন, এতে তিনি তৃপ্তি পেতেন। এখানে পাঁচ বছর কাটিয়ে দেশে ফেরার পর গীতাঞ্জলির সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তবে বিনোদ খান্না আরও একবার তাঁর জীবন শুরু করার চেষ্টা করেছিলেন এবং আরও একবার নিজের ঘর গোছানোর চেষ্টা করেছিলেন।
রাজনীতিতে সাফল্য :
১৯৯০ সালে কবিতাকে বিয়ে করেন বিনোদ খান্না। দুজনেরই এক মেয়ে ও এক ছেলে হয়। ১৯৯৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। দীর্ঘদিন সংসদ সদস্যও ছিলেন এই অভিনেতা।
বিনোদ খান্না ১৯৬৭ সালে 'মন কা মিত' দিয়ে বলিউডে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর 'আন মিলো সাজনা', 'পূরব অর পশ্চিম', 'মেরা গাঁও মেরা দেশ', 'সাচ্চা ঝুঁটা' এবং 'মাস্তানা'-এর মতো বহু ছবিতে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৭১ সালে বিনোদ খান্না 'হাম তুম অর ওহ'-এ মুখ্য অভিনেতা হিসেবে অভিনয় করেন। এই ছবির পর নায়ক হিসেবে তার ভাগ্য উজ্জ্বল হয়।
এরপর ২৭শে এপ্রিল ২০১৭সালে, বিনোদ খান্না ব্লাড ক্যান্সারের কারণে পৃথিবীকে বিদায় জানান। দীর্ঘদিন পরিবারের কাছে নিজের অসুস্থতার কথা লুকিয়ে রেখেছিলেন অভিনেতা। ছয় বছর ধরে জার্মানিতে তার চিকিৎসা হয়েছিল এবং অস্ত্রোপচারও করা হয়েছিল, কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।
No comments:
Post a Comment