আবিষ্কৃত হল বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু হোল
পিঙ্কি রায়,১৭মে : আমাদের এই পৃথিবী অনেক রহস্যময় এবং আশ্চর্যজনক কাঠামোতে পূর্ণ। যুগে যুগে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের ফলে অনেক রহস্য ক্রমশ উঠতে থাকে। সম্প্রতি এমনই একটি রহস্যের উন্মোচন হয়েছে । আসলে, বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের তলদেশে বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু হোল আবিষ্কার করেছেন। আমরা আজ অবধি ব্ল্যাক হোলের কথা শুনেছি। ব্লু হোল কী? আসুন জেনে নেই এই সম্পর্কে-
দ্বিতীয় ব্লু হোল এখানে পাওয়া গেছে:
মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপের উপকূলে বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু হোল পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীদের দল সম্প্রতি এটি আবিষ্কার করেছে এবং এর গভীরতা ৯০০ ফুট পর্যন্ত বলা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ব্লু হোলটি প্রায় ১,৪৭,০০০ বর্গমিটার জুড়ে বিস্তৃত।
আসলে, ব্লু হোল হল এক ধরনের উল্লম্ব গুহা, যা জলের নিচে থাকে। ব্লু হোলের নিজস্ব জীববৈচিত্র্য রয়েছে, যেখানে অনেক ধরনের উদ্ভিদ ও সামুদ্রিক প্রাণী বাস করে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত এই ব্লু হোলের নাম 'তাম জা', মায়ান ভাষায় এর অর্থ 'গভীর জল'। এই গর্তের ৮০ ডিগ্রী একটি ঢাল আছে। এটি সমুদ্রের ১৫ ফুট গভীরতায় অবস্থিত। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই বিষয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছিল।
চুনাপাথর এবং সমুদ্রের নোনা জলের মিশ্রণে নীল গর্ত তৈরি হয়। চুনাপাথর ছিদ্রযুক্ত। যার কারণে সমুদ্রের জল তার সঙ্গে চুন দ্রবীভূত করে প্রবেশ করে। এভাবে একটি ব্লু হোল তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বরফ যুগে অনেক ব্লু হোল তৈরি হয়েছিল এবং প্রায় এগারো হাজার বছর আগে যখন শেষ বরফ যুগের অবসান ঘটে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়, তখন এই গুহাগুলি জলে ভরে গিয়েছিল।
২০১৬ সালে বিশ্বের গভীরতম ব্লু হোল পাওয়া গিয়েছিল। যা ছিল দক্ষিণ চীন সাগরে। এটি ড্রাগন হোল নামে পরিচিত। জানা গেছে এই গর্তটি ৯৮০ ফুটের বেশি গভীর ।
No comments:
Post a Comment