জানুন জেনেরিক ও ব্র্যান্ডেড ওষুধের মধ্যেকার পার্থক্য - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 17 May 2023

জানুন জেনেরিক ও ব্র্যান্ডেড ওষুধের মধ্যেকার পার্থক্য

 







জানুন জেনেরিক ও ব্র্যান্ডেড ওষুধের মধ্যেকার পার্থক্য

প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,১৭মে : যেকোনো রোগ স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানুষের পকেটের উপরও প্রভাব ফেলে।  বেশিরভাগ লোকেদের বক্তব্য যে চিকিৎসকরা কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে রোগীদের শুধু ব্র্যান্ডের ওষুধ লিখে দেন।  বিনিময়ে চিকিৎসকদের দেওয়া হয় মোটা কমিশন ও অন্যান্য সুবিধা ।  এ থেকে রোগীদের পরিত্রাণ পেতে সরকার জেনেরিক ওষুধ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।

পরিবারের কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে পুরো বাড়ির বাজেট নষ্ট হয়ে যায় এবং আয়ের একটি বড় অংশ ওষুধে ব্যয় হয়। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ সস্তায় জেনেরিক ওষুধের ব্যাপারে অনেক সচেতন হয়ে উঠছে।  আসুন আজ জেনে নেই ব্র্যান্ডেড এবং জেনেরিক ওষুধের মধ্যে পার্থক্য -

কোম্পানিগুলো রোগের চিকিৎসার জন্য গবেষণা করে এবং তার ভিত্তিতে লবণ তৈরি করে।  যা ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা অন্যান্য ওষুধ আকারে সংরক্ষণ করা হয়।  বিভিন্ন কোম্পানি একই লবণ বিভিন্ন নামে প্রস্তুত করে বিভিন্ন দামে বিক্রি করে।  একটি বিশেষ কমিটি লবণের জেনেরিক নাম নির্ধারণ করে।  সারা বিশ্বে লবণের জেনেরিক নাম একই।  একই লবণের ব্র্যান্ডেড ওষুধ ও জেনেরিক ওষুধের দামে ৫ থেকে ১০ গুণের পার্থক্য থাকতে পারে।  কখনও কখনও তাদের দামের মধ্যে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত পার্থক্য রয়েছে।

একটি সূত্রের ভিত্তিতে বিভিন্ন রাসায়নিক মিশিয়ে ওষুধ তৈরি করা হয়।  ধরা যাক জ্বরের কিছু ওষুধ আছে।  কোনও বড় কোম্পানি এই ওষুধ তৈরি করলে ব্র্যান্ডেড হয়ে যায়।  কোম্পানি শুধুমাত্র একটি ওষুধের নাম দেয়।  আর একটি ছোট কোম্পানি এই ওষুধ তৈরি করে, তখন একে জেনেরিক ওষুধ বলা হয়।  তবে এ দুটির প্রভাবে কোনও পার্থক্য নেই।  পার্থক্য শুধু নাম আর ব্র্যান্ডের।  বিশেষজ্ঞদের মতে, ওষুধ তৈরি হয় অণু ও লবণ দিয়ে।  তাই ওষুধ কেনার সময় ব্র্যান্ড বা কোম্পানির দিকে নয়, এর লবণের দিকে নজর দিতে হবে।

সাধারণত জেনেরিক ওষুধের ফর্মুলার পেটেন্ট আছে, কিন্তু তাদের উপাদানের পেটেন্ট নেই।  আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে তৈরি জেনেরিক ওষুধের ব্র্যান্ডেড ওষুধের মতোই প্রভাব রয়েছে।  জেনেরিক ওষুধের ডোজ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ব্র্যান্ডেড ওষুধের মতোই।

কোম্পানিগুলো পেটেন্ট ব্র্যান্ডেড ওষুধের দাম নির্ধারণ করে।  তাদের গবেষণা, উন্নয়ন, বিপণন, প্রচার এবং ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়।  আর জেনেরিক ওষুধের সরাসরি উৎপাদন হয়। ইতিমধ্যে তাদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে।  সরকারের হস্তক্ষেপে জেনেরিক ওষুধের দাম নির্ধারণ করা হয় এবং তাদের প্রচারে কোনও খরচ করা হয় না।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad