বাড়িতে মহিলাকে আটকে রেখে দিনের পর দিন কুকর্ম! গ্ৰেফতার আইএসএফ নেতা

বাড়িতে মহিলাকে আটকে রেখে দিনের পর দিন কুকর্ম! গ্ৰেফতার আইএসএফ নেতা 

নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ০১ মে: মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে, তাকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের এক আইএসএফ নেতার বিরুদ্ধে। কাশিপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত নেতা পেশায় একজন টোটো চালক এবং আইএসএফের বুথ সভাপতি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত নেতার বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি মাঝেমধ্যে ভাঙড় এলাকার এক বধূকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতেন টোটো করে। কয়েকদিন আগে ওই মহিলাকে সন্ধ্যায় কাপড় কিনতে বাইকে করে রাজারহাটে নিয়ে যান ওই নেতা।

অভিযোগ, জামাকাপড় কিনতে না গিয়ে জামালপাড়ের একটি ভাড়া বাড়িতে ওই বধূকে আটকে রেখে টানা ৩-৪ দিন ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, ভিডিও করে সেটি ভাইরাল করারও হুমকি দেয় অভিযুক্ত। পাশাপাশি, ওই বধূর গয়না বিক্রিরও অভিযোগ উঠেছে ওই নেতার বিরুদ্ধে। 

থানায় অভিযোগ দায়েরের পরই অভিযুক্ত নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার মাকসুদ হাসান বলেন যে, 'মহিলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্ত নেতাকে গ্রেফতার করেছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।'

যদিও আইএসএফের দাবী, তৃণমূল তাদের নেতাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। পোলেরহাট ২ অঞ্চলের সহ-সভাপতি ইজাজুল মোল্লা বলেন, “ভূমি কমিটি এবং তৃণমূল যৌথভাবে আইএসএফ নেতাকে জড়িয়েছে। রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারায় এ ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে।"

উল্লেখ্য, ভাঙড়ে আইএসএফ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা চরমে। সম্প্রতি, ভাঙড়ে হস্তক্ষেপ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর নেতাদের মধ্যে বেশ তোলপাড় হয়েছিল। দুদিন আগেও আইএসএফ ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ ওঠে।