সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট! তারপর পাথর ছোড়া-অগ্নিসংযোগ, উত্তপ্ত আলোকা
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৪ মে : শনিবার গভীর রাতে মহারাষ্ট্রের আকোলায় দুর্বৃত্তরা ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করে। দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল পাথর ছোড়াছুড়ি হয়। একে অপরের ওপর লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে হামলা চালানো হয়। আচমকাই শতাধিক বাইক আরোহী রাস্তায় চলে আসে। পুলিশকেও অসহায় দেখায়।তবে রবিবার সকালে পুলিশের একাধিক টিম এলাকায় টহল দিচ্ছে। একই সঙ্গে এই সহিংসতায় একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮ জন আহত হয়েছে।
বলা হচ্ছে, ইনস্টাগ্রামে একটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে নোংরা পোস্ট লেখার পরেই এই বিতর্ক শুরু হয়। এ নিয়ে লোকজন তাদের আপত্তি জানিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানায়। এরপর হঠাৎ উত্তেজিত জনতা যানবাহনে ভাঙচুর ও আগুন দিতে থাকে। এরপর অন্য সম্প্রদায়ের লোকজনও এসে পাথর ছুড়তে থাকে। দুর্বৃত্তরা পুলিশের গাড়িতেও পাথর ছোড়ে বলে জানা গেছে। এ সময় পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছাড়তে হয়।
রাস্তায় তাণ্ডব
ঘটনাটি পুরানো শহরের অকোলার গঙ্গাধর চক পোলা চক হরিহর পেঠের। বলা হচ্ছে, হঠাৎ করে শতাধিক বাইকার ঘটনাস্থলে আসে। এরপরই বাইকাররা তোলপাড় শুরু করে। একইসঙ্গে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্বৃত্তদের লাঠিচার্জ করে। পুলিশ লাঠিচার্জ করলেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তবে কয়েকজন পুলিশ দলকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে। পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রায় ১২ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আকোলার প্রতিটি চত্বর ও মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশের দল। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, পাথর ছোঁড়েদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাদের ধরতে পুলিশের একটি দল অভিযান চালাচ্ছে। এসপি সন্দীপ ঘুগে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সহিংসতায় একজনের মৃত্যু হয়েছে
এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। আকোলার রাস্তায় নীরবতা। পুলিশ আধিকারিকরা অকোলার জনগণকে ভুয়ো খবর এবং গুজবে কান না দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। একই সঙ্গে এলাকায় ফ্ল্যাগমার্চও করেছে পুলিশ। সহিংসতায় নিহত ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ। মৃত্যুর আসল কারণ কী, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই সহিংসতায় আটজন আহত হয়েছেন, আহতদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
No comments:
Post a Comment