"নির্বাচনের সময় বড় বড় কথা বলা হচ্ছে", রবীন্দ্র জয়ন্তীতে অমিত শাহকে কটাক্ষ মমতার
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৯ মে, কলকাতা : রবীন্দ্র জয়ন্তীতে কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার রবীন্দ্র জয়ন্তীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনি না জেনেই লিখে বা টেলিপ্রম্পটার দেখে অনেক বড় কথা বলতে পারেন। কিন্তু যাঁদের হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ আছেন তাঁরা তাঁকে সবসময় অনুভব করেন। রবি-উপাসনা যদি হৃদয় থেকে করা হয়, তবে তা হবে প্রকৃত রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানানো।"
রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর ও তাঁর কবিতার প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করে বলেন যে, "বাংলার মানুষের হৃদয়ে ও অন্তরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রয়েছে।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনেক কিছু না জেনে কেউ লিখে বা টেলিপ্রম্পটার দেখে অনেক কিছু বলতে পারে। এটাও বলা যায় শান্তিনিকেতন কবিগুরুর জন্মস্থান।"
তিনি বলেন, "বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা যায়, কিন্তু যাঁদের হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ আছেন, তাঁরা তাঁকে সবসময় অনুভব করেন। রবি-উপাসনা যদি হৃদয় থেকে করা হয়, তবে তা হবে প্রকৃত রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানানো।"
তিনি জানান, ১০ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত কবি প্রনাম অনুষ্ঠান চলবে। এই ১৫ দিনে তিন হাজার শিল্পী রবীন্দ্র সদনের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তিনি বলেন, "আজ শপথ নেওয়ার পালা। কবিগুরু যে আদর্শে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, যে আদর্শের দ্বারা তিনি বিশ্বকে পরিচালিত করেছেন, সে আদর্শ থেকে আমরা কখনই বিভ্রান্ত না হই।"
তিনি বলেন, "ভুল করেও বলা যায় শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান। কবিগুরুর অবদানের কথা স্মরণ করে তাঁকে প্রণাম জানালেন।"
তিনি বলেন, "বিদ্যাসাগরের মূর্তিও ভাঙা হতে পারে। তারপর নির্বাচনের কারণে অনেক বড় বড় কথা না জেনে বা টেলিপ্রম্পটারে লিখেই বলা যায়।"
তিনি রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে নয়, দেশের নেতৃত্বকে আরও অনেক বেশি শক্তিশালী করেছেন। তিনি বলেন, " শেক্সপিয়ার পড়ুন, সব ভাষা শিখুন। এতে আপত্তি নেই, তবে মাতৃভাষাকে ভুলে গেলে চলবে না।" তিনি বলেন, "আমরা ভাঙতে চাই না, গড়তে চাই। আমরা পরকীয়াবাদের দেয়াল গড়তে চাই না।"
No comments:
Post a Comment