দাদার বাড়ি থেকে উদ্ধার ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহ, তদন্তে পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২০ মে: বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে দাদার বাড়ি থেকে উদ্ধার ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহ। শনিবার সকালের এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে। মৃত ব্যক্তির নাম সুরেশ রায়, বয়স আনুমানিক ৪৭ বছর।
জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি ব্লকের উত্তর গোঁসাইয়ের হাট এলাকার বাসিন্দা সুরেশ রায়ের স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে সংসার। ঘটনার দিন স্ত্রী, ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে ছিল। শুক্রবার রাতে একাই বাড়িতে ছিলেন সুরেশ রায়। এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মাগুরমারি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দাদার বাড়ির লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ভ্যানের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে ছুটি আসেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আইসি সুজয় তুঙ্গার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ এসে দেখে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে পড়ে রয়েছে বাঁশের লাঠি, বিভিন্ন জায়গায় রক্তের দাগ, যাকে ঘিরে সন্দেহ দানা বাঁধছে এলাকাবাসীদের মনে। স্থানীয়দের অনুমান, বাড়ি থেকেই প্রথমে তাকে মারধর করা হয় এরপরে এভাবে রেখে পালিয়ে যায় এবং সেখানেও তাকে আঘাত করা হয়। এদিন নিজের দাদার সুরেন রায়ের বাড়ি থেকে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ভ্যানের ওপরে সুরেশের দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিষ্কার নয়।
মৃত ব্যক্তির স্ত্রী অঞ্জলি রায় জানিয়েছেন, তার স্বামী বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। আগে ভ্যান চালাতেন, কিন্তু এখন কোনও কাজ করেন না। তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায়। এই নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবেশীরা তাকে বিভিন্ন ধরনের কথাও বলে। তার অভিযোগ,এর আগেও তার স্বামীকে প্রতিবেশীরা মারধর করেছিল। তার স্বামীকে খুন করা হয়েছে এমনই অভিযোগ করেন তিনি।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
No comments:
Post a Comment