এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি-গুলি! উত্তপ্ত হাড়োয়া
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৭ মে: এলাকা দখলের চেষ্টার অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হাড়োয়া। পরপর বোমাবাজি ও শূন্যে গুলি চালানোর অভিযোগ। অভিযোগের তির আইএসএফের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্ৰেফতার তিনজন। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার অন্তর্গত হাড়োয়া ব্লকের বকজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে একদল আইএসএফ নেতাকর্মী বোমা ও গুলি চালিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি ও গ্রাম দখলের চেষ্টা করে। এই অভিযোগে আইএসএফ নেতা মসিদুল মল্লিক, নাসিরউদ্দিন সর্দার ও শরিফুল শেখের নামে হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গ্ৰামের বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবী, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতেই এই ধরনের কাজ। সম্প্রতি কলকাতায় আইএসএফের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ভাঙচুর সহ পুলিশকে মারধরের অভিযোগও রয়েছে এদের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের পরিবার ও গ্রামকে ভয় দেখিয়ে নিজেদের দখলে আনার পরিকল্পনায় রাতের অন্ধকারে বোমা ও গুলি চালিয়ে এলাকা অশান্ত রাখার চেষ্টা করছেন আইএসএফ নেতারা। বেশ কয়েকজন আইএসএফ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সকালে তিন আইএসএফ নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং ধৃতদের এদিনই বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জেলার আইএসএফের যুগ্ম সম্পাদক মুশা কারিমুল্লা বলেন, "হাড়োয়ার ব্লক তৃণমূলের যুব কংগ্রেস সভাপতি খালেক মোল্লা প্রকাশ্য জনসভায় হুমকি দিয়েছিলেন, তারাই আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের ফাঁসাচ্ছে চক্রান্ত করে।"
অপরদিকে হাড়োয়া দুই নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ফরিদ জমাদারের দাবী, 'দিন কয়েক আগে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ওই গ্রামে গিয়ে সভা করে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন, তারই ফল হিসেবে আইএসএফ নেতা-কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় আতঙ্ক ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে।"
No comments:
Post a Comment