পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্ত! কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা মমতা সরকারের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 22 May 2023

পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্ত! কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা মমতা সরকারের



পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্ত! কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা মমতা সরকারের



নিজস্ব প্রতিবেদন, ২২ মে, কলকাতা : কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ নাগরিক সংস্থায় নিয়োগের বিষয়ে সিবিআই তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশ স্থগিত না করতে অস্বীকার করেছে।  যদিও পৌরসভা ও শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির মামলার তদন্ত করতে চায় আদালত।  এ নিয়ে ইডি-র কাছে প্রশ্ন তোলে বেঞ্চ।  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জিজ্ঞাসা করলেন দুর্নীতির অনুমানের ভিত্তিতে তিনি সিঙ্গল বেঞ্চকে আর কী কী তথ্য দিয়েছেন?


 তিনি বলেন, "দুই বিভাগের দুর্নীতির যোগসূত্র দিতে হবে।  কিসের ভিত্তিতে একক বেঞ্চ এই নির্দেশ দিল?  তদন্ত এখন কোন পর্যায়ে?  আমরা প্রমাণ দেখতে চাই।"


 কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, নিজের অভিযোগ করার সময় উপযুক্ত প্রমাণ আনতে হবে।  নইলে বিশ্বাস করার কিছু নেই।  আবেদনকারী প্যান্ডোরার বাক্স খুলেছেন, কিন্তু ইডি এখন তা প্রমাণ করুক।


 বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় প্রশ্ন করেন, তিনি কি সিঙ্গেল বেঞ্চে কেস ডায়েরি দিয়েছেন?  ইন্টারলিংক কিভাবে দেখবেন, প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত সিঙ্গেল বেঞ্চে কিছু করা যাবে না।  সিডি দেখাতে হবে।



রাজ্য সরকারের আইনজীবী জয়দীপ কর আদালতে বলেছেন, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা।  কোনও প্রমাণ নেই।  অয়ন শীলের কোম্পানির লিংক শুধুমাত্র দেওয়া আছে।  এখানে কোনও চাকরিপ্রার্থী আসেনি, যারা বঞ্চিত ছিল।  রাষ্ট্র ব্যর্থ হলে রাজ্য থেকে তদন্ত অপসারণ করা যেতে পারে।


 ইডি-র কৌঁসুলি আদালতকে জানিয়েছেন যে রিপোর্টটি প্রথমে ১০ এপ্রিল জমা দেওয়া হয়েছিল।  সেখানে অয়ন শীলকে আটক করা হয়।  সেখান থেকে পৌরসভার যোগসূত্র পাওয়া গেছে।


  স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে রাজ্যে তোলপাড় চলছে।  এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস যুব নেতা অয়ন শীলকে গ্রেফতারের পর পৌর কর্পোরেশন নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়টিও সামনে এসেছে।


 তদন্তকারীরা, তার বাড়ি এবং অফিস তল্লাশি করার পরে, তারা বেশ কয়েকটি সরকারি কেনাকাটায় দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।  বিষয়টি গেল কলকাতা হাইকোর্টে।



 সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।  কিন্তু রোস্টারে না থাকার কারণে বিচারপতি অরিজিৎ ব্যানার্জী ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের বেঞ্চ রাজ্যের মামলার শুনানি করতে অস্বীকৃতি জানায়।


 ফলে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে গিয়েছিল এবং এখন সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে বিষয়টির শুনানি হয়।  বেঞ্চ নাগরিক সংস্থা নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্তকেও বহাল রাখে।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad