'কালীঘাটের কাকু'র বাড়িতে ইডি-র হানা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 20 May 2023

'কালীঘাটের কাকু'র বাড়িতে ইডি-র হানা


'কালীঘাটের কাকু'র বাড়িতে ইডি-র হানা



নিজস্ব প্রতিবেদন, ২০ মে, কলকাতা: তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে শনিবার তলব করেছে সিবিআই। আর এদিন সকালেই 'কালীঘাটের কাকু' তথা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে হানা দেয় ইডি-র একটি বড় দল। কালীঘাটের কাকুর ফকিরপাড়া রোড, বেহালায় ফ্ল্যাট, বাড়ি, অফিস-সহ একাধিক জায়গায় হানা দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের আধিকারিকেরা।  


সম্প্রতি সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই সময় তাঁর বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। তবে বোনের হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসার বিল মেটানোর জন্য ওই টাকা রেখেছিলেন বলে দাবী করেন তিনি। পাওয়া যায় একটি অ্যাডমিট কার্ড। ‘কাকু’ দাবী করেন, সেটা তাঁর শ্যালিকার পুত্রের পুরসভায় চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রদত্ত অ্যাডমিট কার্ড। এছাড়াও তার একটি ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 


তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও দুবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সমন পাঠিয়েছিল সিবিআই। প্রথমবার হাজিরা দিলেও পরে আর হাজির হননি তিনি। পরিবর্তে তিনি আইনজীবীর হাতে নথি পাঠিয়েছিলেন। সুজয় জানতেন ওই সময় তাঁর কাছ থেকে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। তাই আইনজীবীর কাছে পাঠানো হয়। তিনি নিজেই বলেছেন যে, তিনি তার স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাংক হিসাবের নথি আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়েছেন।


নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল সিবিআইয়ের কাছে দাবী করেছেন যে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময়, কুন্তল তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি সুজয়ের সাথে কথা বলেছেন।


 ইডি সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষের 'কালীঘাটের কাকু'-র সঙ্গে রাজ্যের এক প্রভাবশালী শীর্ষ নেতার সম্পর্ক রয়েছে। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরদারিতে রয়েছেন সুজয়। ইডি সূত্রে খবর, শনিবার ফের তাঁকে জেরা করা হচ্ছে।


তবে কুন্তল দাবী করেছেন, তিনি 'কাকু'কে চিনতেন না। যে সুজয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তিনি 'কালীঘাটের কাকু' নন বলেও দাবী করেছেন কুন্তল। তাপস ও কুন্তলের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে রহস্য আরও জটিল হয়েছে।


সুজয় নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন কেন তাঁকে 'কালীঘাটের কাকু' বলা হয়, তা তাঁর কাছে স্পষ্ট নয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তার কাছে কোনও টাকা জমা হয়নি বলেও দাবী করেন তিনি। তিনি বলেন, 'আমার কর্মস্থল নিউ আলিপুর। কালীঘাটের কাকু শব্দটা কোথা থেকে এসেছে তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।'


সুজয় দাবী করেছেন যে তাঁর 'সাহেব' তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ২০০৯ সাল থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে কাজ করছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পর্শ করার ক্ষমতা কারও নেই।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad