কাপড়ের দোকানে ভয়াবহ আগুন, ধোঁয়ায় অসুস্থ একাধিক
নিজস্ব সংবাদদাতা, নদিয়া, ২২ মে: কাপড়ের দোকানে ভয়াবহ আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে অসুস্থ একাধিক দমকল কর্মী এবং স্থানীয়রা। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দমকলের দুটি ইঞ্জিনের সাহায্যে চলছে আগুন নেভানোর কাজ। লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার নদিয়ার রানাঘাট পৌরসভা সংলগ্ন সুবাস এভিনিউর একটি শাড়ীর দোকানে।
জানা যায়, এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ ওই দোকানটি বন্ধ ছিল। দশটার পরেই প্রতিদিন সাধারণত ওই দোকানটি খোলা হয়। কিন্তু হঠাৎই এদিন ওই দোকানের ভেতর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয়রা। পাশের ব্যবসায়ীদেরও বিষয়টি নজরে আসে। এরপর সকলেই বুঝতে পারে দোকানের ভিতর আগুন লেগেছে। নিমেষের মধ্যে আগুনের তীব্রতা প্রচণ্ড বেড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পৌরসভার পৌরপতি এবং পৌরকর্মীরা।
প্রাথমিকভাবে তারা ও স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলায় আসে রানাঘাট থানার পুলিশ এবং রানাঘাট দমকল কর্মীরা। প্রথমে একটি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, আরও একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আনা হয়। এক ঘন্টা পার হয়ে গেল আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়েছেন একাধিক পৌরকর্মী এবং দমকল কর্মীরা।
এই বিষয়ে ওই বাজারের আরেক ব্যবসায়ী লিস্টন দত্ত বলেন, "প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে শর্ট-সার্কিটের ফলে এই আগুন লেগেছে। প্রথম দিকে আগুনের তীব্রতা অনেক বেশি ছিল। তবে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর এখন আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যেহেতু ভীষণ জনবহুল এলাকা, সেই কারণে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।"
এ বিষয়ে রানাঘাট পৌরসভার পৌরপিতা কৌশল দেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এসির লাইন থেকে শর্ট সার্কিটের ফলে এই আগুন লেগেছে। আমাদের পৌরসভার কর্মীরা এবং ইলেকট্রিক ডিপার্টমেন্টের কর্মীরাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন এনে দমকল কর্মীরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন আগুন নেভানোর। তবে জায়গাটি খুব ঘিঞ্জি হওয়ার কারণে আগুন নেভানোর কাজে সমস্যা হচ্ছে।" আগুনের ধোঁয়ায় কয়েকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বলেও তিনি জানান।
No comments:
Post a Comment